তথ্যচিত্র
প্রথম পাতা > তথ্যচিত্র

অরবিন্দ সিনহা (১৯৬১ - বর্তমান)

অরবিন্দ সিনহা
(১৯৬১ - বর্তমান)

বিহারে জন্মালেও অরবিন্দ শৈশবে কলকাতায় চলে আসেন। সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলের ছাত্র, একজন স্ব-শিক্ষিত চিত্রনির্মাতা যিনি ১৯৯০ সালে নিজের প্রথম তথ্যচিত্র বানানোর আগে কোনও পরিচালকের সহকারী হিসেবেও কাজ করেননি। অরবিন্দের ছবিগুলি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবেই তাঁর তথ্যচিত্রে বহু হিন্দি ছায়াছবির ক্লিপিংস আছে। পরিচালক এই কাজটি করেন কারণ হিন্দি ...

ডিপ ফোকাস

    • ছৌ: মাস্ক ডান্স অফ সরাইকেল্লা
    সরাইকেল্লার ছৌ নাচ ছিল এর বিষয়। এটি লেইপজিগ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আমন্ত্রিত হয়েছিল। অশোক দাশগুপ্ত সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন এবং মণি অধিকারী সম্পাদনা করেছিলেন।

    • দ্য রিক্লুস
    ১৯৯২ সা...

চিত্রপঞ্জী
    • ছৌ: মাস্ক ডান্স অফ সরাইকেল্লা (১৯৯০) 
    • দ্য রিক্লুস (১৯৯২)
    • অজিত (দ্য আনকঙ্কারেবল) (১৯৯৫)
    • দুই পাতান কে বিচ মে (বিট্যুইন দ্য ডেভিল অ্যান্ড দ্য ডিপ রিভার) (১৯৯৯)
    • কায়া পুছে মায়া সে (জার্নিংস অ্যান্ড কনভারসেশনস) (২০০২) 
    • ধ্রুপদ ইন দ্য টাইম অফ লিবারালাইজেশন (২০০২) 
    • দাগার (২০০৪)
    • সাজিয়া (২০০৫)
    • রাজা হিন্দুস্তানি (২০০৮)
    • স্বামী বিবেকানন্দ (২০১০)
    • উমজে ছেন-মো (২০১৭)
পুরস্কার
    • অরবিন্দ প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে দু'টি রজত কমল জিতেছেনI দ্য রিক্লুস-এর জন্য বেস্ট আর্টস/কালচারাল ফিল্ম হিসেবে ১৯৯৩সালে ৪০তম জাতীয় পুরস্কারে। এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে ধ্রুপদের একজন জীবিত বিস্ময় উস্তাদ আমিরুদ্দিন দাগারকে মন ছুঁয়ে যাওয়া সম্মান দেখানোর কারণে। রাজা সেনও সেই বছর সুচিত্রা মিত্রের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। 
    • অরবিন্দ ১৯৯৬ সালে ৪৩ তম জাতীয় পুরস্কারে তাঁর অজিত ছবিতে পরিযায়ী শিশু শ্রমিকদের ছবি তুলে ধরার জন্য স্পেশাল মেনশন জিতেছিলেন। 
    • এটি লেইপজিগ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১৯৯৬ সালে মার্সিডিজ বেনজ পুরস্কার জিতেছিল। 
    • অজিত ফেস্টিভ্যালের শেষ আকর্ষণ ছিল এবং স্পেশাল মেনশন পেয়েছিল। 
    • এটি স্পেনের বিলবাও ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১৯৯৬ সালে গোল্ড মেডেল এবং ইউনিসেফ অ্যাওয়ার্ড জেতে। 
    • দুই পাতান কে বিচ মে (বিট্যুইন দ্য ডেভিল অ্যান্ড দ্য ডিপ রিভার) অরবিন্দকে দু'টি স্বর্ণকমল প্রযোজনা ও পরিচালনার জন্য ২০০০ সালে ৪৭ তম জাতীয় পুরস্কারে এনে দেয়। 
    • এটি বেস্ট নন ফিচার ফিল্ম জেতে উত্তর বিহারের প্রাকৃতিক দুর্যোগকে গভীর বিশ্লেষণের সাথে তুলে ধরার জন্য, মানুষের বাস্তুহারা এবং 'উভচর' হয়ে বাঁচতে বাধ্য হওয়া, অন্ধভাবে যথেচ্ছ নদীতে বাঁধ দেওয়ার ফলকে ফুটিয়ে তোলার জন্য। 
    •  কায়া পুছে মায়া সে (জার্নিংস অ্যান্ড কনভারসেশনস) তিনটি স্বর্ণকমল জেতে। প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে অরবিন্দ তিনটি স্বর্ণকমল পান। প্রথম দু'টি প্রোডিউসার ও ডিরেক্টর বেস্ট নন-ফিচার ফিল্ম "একটি অনুসন্ধিৎসু, চিন্তাশীল, গভীর কিন্তু নিরপেক্ষ রেকর্ড অগণ্য মানুষের মুখচ্ছবির যারা গঙ্গার পাশে হাওড়া স্টেশনের আশেপাশে ভেসে চলেছে। পরিচালক তাঁর উৎসুক চোখ দিয়ে অসমান ও অজানা ছবির মধ্যে 'মানুষ' নামের রহস্যের ভেতর একটি মনশ্চক্ষু পেয়েছেন। মনে হয় একটা গোটা সভ্যতা যেন তৈরি হয়েছে ভেসে বেড়ানো মুখ, মানুষ ও শব্দ নিয়ে"। এটি এই অনুষ্ঠানেই বেস্ট নন ফিচার পরিচালনার জন্য পুরস্কৃত হয় দেখানোর জন্য "হাওড়া স্টেশনের মানবিকতার চিত্র সংবেদনশীলতা ও উষ্ণতার সঙ্গে একত্রে ফুটিয়ে তোলার জন্য"। রঞ্জন পালিত রজত কমল পান বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফির জন্য "ভাসমান অগণ্য মানুষের মুখ সিনেম্যাটিক অবজার্ভেশনে দেখানোর জন্য এবং শ্বাসরুদ্ধকর আলো ও ছায়ার যুগলবন্দি তুলে ধরার জন্য"। 
    • এই ছবি ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টরি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আমস্টারডামে (আইডিএফএ) জরিস ইভানস কম্পিটিশনে ছিল। এটি প্রথম ভারতীয় ছবি যা সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টরি কম্পিটিশনে নির্বাচিত হয়েছে। এটি সানড্যান্সে মেইন কম্পিটিশনে একমাত্র ভারতীয় ছবি ছিল। 
    •  রাজা হিন্দুস্তানি আইডিএফএ মূল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ভারতীয় ছবি ছিল। 
    • এটি মরক্কোর আগাদির ইন্টারন্যাশনালফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল।
পুনশ্চ

প্রখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেন অরবিন্দের সঙ্গে একটি দুর্দান্ত বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতেন। দুই পাতান কে বিচ মে (বিট্যুইন দ্য ডেভিল অ্যান্ড দ্য ডিপ রিভার) দেখার পর এই পরিচালক বলেছিলেন যে তিনি এমন একটি তথ্যচিত্র বানাতে পারবেন না। গবেষণা: গীতি সেহগাল

ফটো গ্যালারি