একাধারে পেশাদার শিল্পী, চিত্রকর ও চিত্রনির্মাতা নীতীশ কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অফ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফ্ট-এ তিন বছর শিক্ষাগ্রহণ করেছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। পেশাগতভাবে বাণিজ্যিক শিল্পীর কাজ করলেও অনেকগুলি তথ্যচিত্রে পরিচালক, সহ-পরিচালক, শিল্প নির্দেশক, চিত্...
অবনীন্দ্রনাথ ও তাঁর কথাশিল্প ছবিটির জন্য নিজে হাতে শতাধিক সাদা-কালো ছবি এঁকেছিলেন নীতীশ। এর ফলে, ছবিতে অ্যানিমেশন ব্যবহার করা না হলেও এক গতিময় অ্যানিমেশনের বিভ্রম তৈরি হয়। “আবার, আমার দাদার পরিচালনা কমলা নেহরু-তে আমার আঁকা ছবি সব রঙিন ব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলি অ্যানিমেশন ক্যামেরায় শুট করা হয়েছিল, কিন্তু ছবিটি অ্যানিমেশন ছবি ছিল না। আমার প্রথম কাহিনিচিত্রে প্রায় ৩৫০ ফিট লম্বা ফিল্ম নেগেটিভে আমি সরাসরি ড্রয়িং করেছিলাম যাতে ওই গতিময়, চলমান ভাবটা আনা যায়। বড় বড় পরিচালকরা ভেবেছিলেন ওই এফেক্টটা অ্যানিমেশন দিয়ে করা হয়েছে,” স্মৃতিচারণ করছেন নীতীশ। একাধিক বই লিখেছেন নীতীশ; তার মধ্যে উল্লেখ্য রবীন্দ্রনাথ, রক্তকরবী ও রক্তকরবীর রঙ, সোনার পাখি তুমি কোথায় এবং চলচ্চিত্রের চিত্রকর। নীতীশ শিল্প ভবনের একজন সদস্য, ফোরাম ফর বেটার সিনেমা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পূর্ব ভারতের সিনে ডিরেক্টরস্ গিল্ড-এর প্রাক্তন যুগ্মসচিব।