কিশোর কুমারের সঙ্গে সন্দীপের সম্পর্ক বরাবরই ভাল ছিল। 'পথের পাঁচালী' (১৯৫৫) নির্মাণের সময় সত্যজিৎ রায়কে আর্থিক ভাবে সাহায়্য করেছিলেন এই প্রতিভাবান শিল্পী। চারুলতার জন্য 'আমি চিনি গো চিনি' ছবিতে গান গাওয়ার জন্য তিনি এক পয়সাও পারিশ্রমিক নেননি। সন্দীপ কিশোরকে আইডল মনে করতেন এবং সবস ময় তাকে নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিশোরের জীবদ্দশায় তাঁর সঙ্গে তথ্যচিত্র শ্যুট করার কথাও বলেছিলেন। ১৯৮৭ সালে আচমকা প্রয়াত হওয়ার আগে ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়নি। তার মৃত্যুর পর, কিছু কাজ প্রকাশ করা হয়েছিল তবে সেগুলি সন্দীপ যা করতে চেয়েছিলেন তার সঙ্গে মেলে না। তখনই এই তথ্যচিত্র তৈরির ভাবনা ফের জেগে ওঠে। সন্দীপের মতে, এই তথ্যচিত্র 'লেবার অফ লাভ '। সাক্ষাৎকারের জন্য একাধিক বার মুম্বইয়ে গিয়েছেন। অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, সুনীল দত্ত, মান্না দে, আর ডি বর্মন, রাজেশ রোশন, শশী কাপুর, অশোক কুমার, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে, অমিত কুমার, শাহরুখ খান ছাড়াও এই ছবিতে কমেন্ট্রি করেছেন অমিন সায়ানি। তথ্যচিত্রটিতে ৪০টি গান ও চলচ্চিত্রের ক্লিপিংস রয়েছে।
সন্দীপ এই একটিই তথ্যচিত্র পরিচালনা করেছিলেন। এটি প্রথম ভিএইচএস আকারে প্রকাশ করা হয়। মূল প্রযোজক ছিলেন ক্লারিয়ন এবং তথ্যচিত্রটির স্পন্সর ছিলেন বাটা। এর শুটিং হয়েছে ডিজিটাল আকারে। তবে তথ্যচিত্রটি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। পরবর্তীকালে যখন এটি অন্য একটি কোম্পানির দ্বারা ডিভিডি আকারে আবার প্রকাশিত হয়, তখন কিছু কপিরাইট সমস্যা ছিল যার জন্য কিছু গান তথ্যচিত্র থেকে বাদ দিতে হয়েছিল। সন্দীপের এই সংস্করণ বিশেষ পছন্দের নয়। সৌভাগ্যবশত, তাঁর কাছে প্রথম সংস্করণের একটি ব্যক্তিগত অনুলিপি রয়েছে। কিছু ব্যক্তিগত সংগ্রাহক, যারা মূল ভিএইচএস কিনেছিলেন, তারা হয়তো তাদেরও ডিজিটাইজ করে ফেলেছেন।