রাজেন তরফদার কী ভাবে তথ্যচিত্র বানাতে শুরু করেছিলেন সে বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা যায় না। গঙ্গা এবং পালঙ্ক-এর এই অভিজ্ঞ পরিচালক তাঁর কেরিয়ারে চারটি তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন। তাঁর পুত্র গোরা তরফদারের মতে ষাটের দশকের প্রথম দিকে এগুলো বানানো হয়েছিল। সম্ভবত রাজেন এই কাজটি শুরু করেছিলেন অগ্নিশিখা (১৯৬২) এবং জীবন কাহিনী (১৯৬৪) পরিচালনার আগে।তখনকার দিনে থিয়েটারে কোনও ফিচার ফিল্ম চলার আগে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হত। এই পরিচালক তাঁর ইন্ডাস্ট্রির তিন সহযোগীকে নিয়ে একটি দল তৈরি করেছিলেন। এতে ছিলেন অভিনেতা পারিজাত বসু, সম্পাদক অরবিন্দ ভট্টাচার্য এবং আর্ট ডিরেক্টর বিজয় চট্টোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁদের এই তথ্যচিত্র বানানোর বরাত দিয়েছিলেন। এই দলের নাম ছিল ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। এই ছবিগুলির শুটিং কলকাতাতেই হয়েছিল।
এই তথ্যচিত্রগুলি বানানোর উদ্দেশ্য ছিল জীবন কাহিনী বানানোর জন্য অর্থ উপার্জন করা। গোরা তরফদারের ধারণা, রাজ্য সরকার তাঁদের দলটিকে প্রতিটা ছবি বানানোর জন্য সম্ভবত পঁচিশ থেকে তিরিশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।