নব্যেন্দু ১৯৬২ সালে একজন অভিনেতা হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু শীঘ্রই তিনি নির্দেশনার দিকে মনোনিবেশ করেন। ১৯৬৭ সালে একটি পরীক্ষামূলক হিন্দি চলচ্চিত্র ‘নয়া রাস্তা’ দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তথ্যচিত্র এবং বিষয়ভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিচালনা করার সময়, নবেন্দু বিষয়বস্তু এবং ফর্ম দুই নিয়েই পরীক্ষা করেছিলেন। ‘গ্লিম্পসেস অফ বেঙ্গল টেরাকোটা’ রাজ্যের পোড়ামাটির মন্দিরগুলিকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল। বিরসা মুণ্ডার উপর ‘মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসী’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র পরিচালনা করেছিলেন যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রযোজনায় তৈরি হয়েছিল। তাঁর তৈরি ‘ব্লিডিং ইন দ্য সান’ ১৯৯৭ সালে ইন্ডিয়ান প্যানোরামায় ছিল।২০০৯ সালে তাঁর বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭১ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
‘গ্লিম্পসেস অফ বেঙ্গল টেরাকোটা’ লিখেছিলেন চিন্তামণি কর। নব্যেন্দু ধ্রুপদে শ্রীলেখা মুখোপাধ্যায়ের পড়াশোনা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তথ্যচিত্রটির সঙ্গীতের জন্য তিনি ধ্রুপদ উপাদানই ব্যবহার করেছিলেন। শ্রীলেখা পন্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারকে এই ছবিতে সরোদ বাজানোর জন্য রাজি করান।