কলকাতার মানুষ ও বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র বারীন বিদেশে পড়তে চাইতেন এবং বিভিন্ন কোর্সের জন্য আবেদনও করেছিলেন। শেষমেশ ফ্রান্সের ইন্সটিট্যুট দ্য হটে এট্যুড সিনেমাটোগ্রাফিক-এ তিনি সুযোগ পান এবং সেখানে পরিচালনা ও সম্পাদনা নিয়ে পড়াশোনা করেন।এরপর তিনি রোমের সেন্ট্রো স্পেরিমেন্টালে দি সিনেমাটোগ্রাফি-তে সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করেন। ফিল্ম স্কুলের ছাত্র হিসেবে তিনি জঁ রেনোয়াঁ ও ভিত্তোরিয় ডি সিকার মতো ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ভারতে ফেরার আগে তিনি ব্রিটেন এবং গ্রিসে কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন।১৯৫৯ সালে তিনি তেরো নদীর পারে-র শ্যুটিং শুরু করেন। শেষ হওয়ার পরে এই ছবিটি ন'বছর ভারতে মুক্তি পায়নি। তিনি আরেকটি বাংলা শর্ট ফিল্ম পরিচালনা করেন যাতে বাদল সরকার অভিনয় করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি দু'টি উচ্চ প্রশংসিত তথ্যচিত্র পরিচালনা করেন। ভাসা ছিল মাছের ভেড়ি (ছোটো পুকুর) নিয়ে। দ্য চেঞ্চুস অন্ধ্রপ্রদেশের চেঞ্চু আদিবাসীদের নিয়ে। এই ছবিটি অন্ধ্রপ্রদেশে তোলা হয়েছিল ১৯৭১-এর জানুয়ারি থেকে মে-এর মাঝামাঝি। তিনি দু'টি ছবিতেই সিনেমাটোগ্রাফি করেছিলেন।
বারীন সাহা ও ঋত্বিক ঘটক একে অপরের বন্ধু ছিলেন। ঘটক যখন বিহারের আদিবাসীদের নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন, বারীন অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশা বর্ডারের আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করেছেন। উভয়ের তথ্যচিত্রেই মাটির সঙ্গে যুক্ত এই আদিবাসীদের আসল জীবন ফুটে উঠেছিল। বাদল সরকারকে উৎসর্গীকৃত বই 'চলচ্চিত্রাক্ষর'-এ এই থিয়েটার ব্যক্তিত্ব দ্য চেচুস'কে প্রশংসা করেছেন এবং এটিও বলেছেন যে ছবিটি ঠিকঠাক বানানো হয়নি। এর কারণ হতে পারে ভারতের ইমেজকে কলঙ্কিত করার ভয়, কারণ এতে পশুবধ ও ইঁদুর খাওয়ার মতো দৃশ্য রয়েছে।