বর্তমানে মুম্বাই নিবাসী তিন্নি মিত্র সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সম্পাদনা বিভাগের প্রাক্তনী। তিন্নি বিএফএ-কে জানিয়েছেন, "ওই বিভাগে কী, কী পড়ানো হয় সেটা দেখবার আগ্রহ ছিল ঠিকই কিন্তু ভর্তি হবার ইচ্ছে ছিল যাদবপুরের ইতিহাস বিভাগে। সেই সময় যে কোন ধারার ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে ফিল্ম স্টাড...
(শুধু তথ্যচিত্র)
তিন্নি ২০০১-২০০২ সালে প্রখ্যাত নাট্যকার বাদল সরকারের এসপেরান্তো ক্লাসে ভর্তি হন। এসপেরান্তো ১৮৮৭-সালে তৈরি একটি কৃত্রিম ভাষা যেটি ভাব আদানপ্রদানের এক আন্তর্জাতিক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ভাষার শেকড়ে আছে মুখ্য ইউরোপীয় ভাষাগুলির নিযার্স। সেই সব ভাষার মূল কাঠামো রক্ষা করার পাশাপাশি এই ভাষাটির ব্যাকরণ যেমন সহজবোধ্য, এটি উচ্চারণ করাও সহজ। বিএফএ-কে তিনি জানিয়েছেন, "বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটার দেখে আমি বড় হয়েছি এবং কমলা গার্লসে পড়বার সময় তাঁর পরিচালিত কর্মশালাতেও যোগ দিয়েছি। পরে আমি এসপেরান্তো ভাষাটির বিষয়ে জানি এবং তিনি যে এই আন্তর্জাতিক ভাষাটি সেখান সে কথাও জানতে পারি। ভাব বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ভাষার গুরুত্বকে বোঝানোর জন্যই তিনি এই প্রশিক্ষণ দেন। আমি ও আমার দুই বন্ধু তাঁকে অনুরোধ করি যাতে তিনি আমাদেরও শেখান। আমাদের সৌভাগ্যক্রমে তিনিও রাজি হয়ে যান। তাঁর প্যারি সরকার রোডের বাড়িতে এই ভাষা শিখতে যাওয়ার মধুর দিনগুলোর স্মৃতি আজও আমার মনে অমলিন।"