তথ্যচিত্র
প্রথম পাতা > তথ্যচিত্র

তিন্নি মিত্র

তিন্নি মিত্র

র্তমানে মুম্বাই নিবাসী তিন্নি মিত্র সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের সম্পাদনা বিভাগের প্রাক্তনী। তিন্নি বিএফএ-কে জানিয়েছেন, "ওই বিভাগে কী, কী পড়ানো হয় সেটা দেখবার আগ্রহ ছিল ঠিকই কিন্তু ভর্তি হবার ইচ্ছে ছিল যাদবপুরের ইতিহাস বিভাগে। সেই সময় যে কোন ধারার ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে ফিল্ম স্টাড...

ডিপ ফোকাস

    • লিকুইড বর্ডার্স
    বর্ণালী রায় শুক্লা নির্মিত এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রটি মানবিকতা, আবেগ এবং আধ্যাত্মিকতার সেতু বন্ধনের দ্বারা ভৌগলিক ও রাজনৈতক ব্যবধানকে মুছে ফেলার কথা বলে। এই ৩৮-মিনিট দীর্ঘ তথ্যচিত্রটির সম্পাদনার কাজটি করেছেন মিত...

চিত্রপঞ্জী

    (শুধু তথ্যচিত্র)

    • লিকুইড বর্ডার্স (২০১৫)
    • আনটিল স্পেস রিমেইন্স: দ্য দালাই লামা অ্যান্ড ইন্ডিয়া (২০১৬)
    • আ ম্যান হু ডর্ফড দ্য মাউন্টেনস (২০১৬)
    • চেঞ্জ দ্য স্টোরি (২০১৬)
    • আমোলি-প্রাইসলেস (২০১৮)
    • অ্যানোনিমাস (২০২০)
পুরস্কার
    • তাঁর ফিল্ম স্কুলের ডিপ্লোমা ফিল্ম 'জার্ম' ২০১০-সালে দুটি জাতীয় পুরস্কার পায় যার মধ্যে একটি ছিল তথ্যচিত্র বিভাগে সেরা সম্পাদনার জন্য।  ফিল্মটির কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত মানপত্র থেকে জানা যায়, "দৃশ্যায়নের নেপথ্যের বিমূর্ত ভাবনা এবং পর্দায় সাদা-কালোর মাত্রায় নিখুঁত ভারসাম্য" দর্শকদের মুগ্ধ করে কারণ তা "নিপুণ সম্পাদনার দ্বারা সুনিয়ন্ত্রিত হয়েছে" যার ফলে, "ছবিটির কাহিনী স্বচ্ছন্দ গতিতে সহজভাবে এগিয়ে যায়"।
পুনশ্চ

তিন্নি ২০০১-২০০২ সালে প্রখ্যাত নাট্যকার বাদল সরকারের এসপেরান্তো ক্লাসে ভর্তি হন। এসপেরান্তো ১৮৮৭-সালে তৈরি একটি কৃত্রিম ভাষা যেটি ভাব আদানপ্রদানের এক আন্তর্জাতিক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই ভাষার শেকড়ে আছে  মুখ্য ইউরোপীয় ভাষাগুলির নিযার্স। সেই সব ভাষার মূল কাঠামো রক্ষা করার পাশাপাশি এই ভাষাটির ব্যাকরণ যেমন সহজবোধ্য, এটি উচ্চারণ করাও সহজ। বিএফএ-কে তিনি জানিয়েছেন, "বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটার দেখে আমি বড় হয়েছি এবং কমলা গার্লসে পড়বার সময় তাঁর পরিচালিত কর্মশালাতেও যোগ দিয়েছি। পরে আমি এসপেরান্তো ভাষাটির বিষয়ে জানি এবং তিনি যে এই আন্তর্জাতিক ভাষাটি সেখান সে কথাও জানতে পারি। ভাব বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ভাষার গুরুত্বকে বোঝানোর জন্যই তিনি এই প্রশিক্ষণ দেন। আমি ও আমার দুই বন্ধু তাঁকে অনুরোধ করি যাতে তিনি আমাদেরও শেখান। আমাদের সৌভাগ্যক্রমে তিনিও রাজি হয়ে যান। তাঁর প্যারি সরকার রোডের বাড়িতে এই ভাষা শিখতে যাওয়ার মধুর দিনগুলোর স্মৃতি আজও আমার মনে অমলিন।"