তথ্যচিত্র
প্রথম পাতা > তথ্যচিত্র

সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২)

সত্যজিৎ রায়
(১৯২১-১৯৯২)

ত্যজিৎ রায় ২৮টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচিত্রের পাশাপাশি পাঁচটি তথ্যচিত্র পরিচালনা করেন ৩৮ বছরের একটি বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে। সবচেয়ে আলোচিত তথ্যচিত্রটি হল সিকিম নিয়ে তৈরি করা তথ্যচিত্র। সৌমেন্দু রায়ের ক্যামেরা হিমালয়ের এই রাজ্যের মনোরম সৌন্দর্যকে খুব যত্ন সহকারে বন্দী করেছিল। তবে তৎকালীন রাজা পাল্ডেন থনডুপ নামগিয়ালের সঙ্গে ছবিটির প্রথম কাট ভালো যায়নি। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল যে ১৯৭৫ সালে সিকিম ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের রাজ্যে পরিণত হলে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১০ সালে শেষ পর্যন্ত বিদেশ মন্ত্রক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। সেই বছরের শেষের দিকে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এর পাবলিক স্ক্রিনিং দেখতে প্রচুর দর্শক জড়ো হয়েছিল। তাঁর অন্য চারটি তথ্যচিত্র ছিল সুকুমার রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিনোদ বিহারী মুখার্জি এবং বালাসরস্বতীর ওপর।

ডিপ ফোকাস

    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
    কবির জন্মশতবার্ষিকীতে ফিল্মস ডিভিশন অফ ইন্ডিয়া রবীন্দ্রনাথের উপর একটি তথ্যচিত্র পরিচালনা করতে বলেছিল সত্যজিৎকে। সত্যজিতের বাবা রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তরুণ ব...

চিত্রপঞ্জী
    • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৬১)
    • সিকিম (১৯৭১)
    • ইনার আই (১৯৭২)
    • বালা (১৯৭৬)
    • সুকুমার রায় (১৯৮৭)

পুরস্কার
    'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর' ১৯৬১ লোকার্নো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল যেখানে এটি একটি গোল্ডেন শেল জিতেছিল। ১৯৭২ সালে ২০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে “ইনার আই” সেরা তথ্যভিত্তিক চলচ্চিত্র (ডকুমেন্টারি) পুরস্কার লাভ করে।
পুনশ্চ

বাংলায় সত্যজিৎ একমাত্র পরিচালক যিনি তাঁর বাবার ওপর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন। সুকুমার রায়ের তথ্যচিত্রে আর্কাইভাল ফুটেজের অভাব পূরণ করার জন্য, সত্যজিৎ তার বাবার লক্ষ্মণের শক্তিশেল শিরোনামের নাটকের কিছু অংশ পুনরায় তৈরি করেছিলেন। এখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র। এতে আরও অভিনয় করেছেন উৎপল দত্ত, সন্তোষ দত্ত, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। সত্যজিৎ সুকুমারের ঝালা পালা নাটকে সংস্কৃত শিক্ষকের ভূমিকায় থেস্পিয়ান উৎপল দত্তকে নিয়েছিলেন।

ফটো গ্যালারি