তথ্যচিত্র
প্রথম পাতা > তথ্যচিত্র

অঞ্জন বসু (১৯৪৭ - বর্তমান)

অঞ্জন বসু
(১৯৪৭ - বর্তমান)

ঞ্জন বসু ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন পাশ করে ল'এর ডিগ্রি নেন। অনাদিনাথ বোসের প্রপৌত্র ও অজিত বোসের পুত্র, যাঁরা ছিলেন অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশনের স্তম্ভস্বরূপ। অরোরা ভারতের পুরোনো সংস্থাগুলির অন্যতম ছিল ফিল্ম প্রযোজনা, পরিবেশনা এবং প্রদর্শনী হাউস হিসেবে, অঞ্জন এখন সেই অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

ডিপ ফোকাস

    • দ্য প্রসেশন
    পরিচালকের মতে এই ছবিটি মানুষের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে যোগদান করার ওপর, মুখ্যত বিনেপয়সায় ঘোরা ও ভালো খাওয়ার লোভে। একজন চাষীর ছেলে একদল গ্রামবাসীকে দেখে লাল পতাকা নিয়ে জমির পাশ দিয়ে যেতে। সে শোনে যে তারা শহরে যাচ্ছে ...

চিত্রপঞ্জী
    • অ্যান এনকাউন্টার (১৯৮১)
    • কোরাঙ্গা কারুশিল্প (১৯৮৮)
    • ছৌ নৃত্য (১৯৮৮)
    • সোহারায় - এ ট্রাইবাল ফেস্টিভ্যাল (১৯৯০)
    • কারাম ও খেরা খেরি (১৯৯১)
    • দ্য প্রসেশন (১৯৯৩)
    • দ্য ল্যান্ড অফ লেপচাস (১৯৯৭)
    • রাজবংশী (১৯৯৮)
    • পাঁচমুড়া (১৯৯৮)
    • সনস অফ হিমালয়াস খোম্বু (২০০১)
    • সনস অফ হিমালয়াস তামাং (২০০১)
    • সনস অফ হিমালয়াস লিম্বু (২০০২)
    • সনস অফ হিমালয়াস গুরুং (২০০২)
    • সনস অফ হিমালয়াস শেরপা (২০০২)
    • এরা অফ লেজেন্ডারি স্টুডিওস (২০১৭)
    • ম্যাটিনি আইডলস অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা (২০১৭)
    • নিরঞ্জন প্রধান - এ জার্নি অফ এ স্কাল্পটর (২০১৯)
    • শ্রীচৈতন্য চিত্ররেখা - দ্য লেগাসি অফ আর্ট অন শ্রীচৈতন্য (২০১৯)
পুরস্কার
    • দ্য প্রসেশন ৩১তম জাতীয় পুরস্কার জিতেছিল বেস্ট ইনফরমেশন ফিল্ম হিসেবে ১৯৮৩ সালে। তিনি একটি রজত কমল জিতেছিলেন "ভারতীয় গ্রামবাসীদের সারল্যকে এবং রাজনৈতিক মতামত ফুটিয়ে তোলার জন্য, সংবেদনশীল অথচ উদ্দীপক কিছু দৃশ্যের মাধ্যমে, যাতে কোনও শব্দ প্রয়োজন হয় না।"
    • এই ছবিটি বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছে। 
    • ইন দ্য ল্যান্ড অফ লেপচাস, তাঁর এবং মানস চৌধুরীর পরিচালিত, ৪৫ তম জাতীয় পুরস্কারে ১৯৯৭ সালে বেস্ট এথনোগ্রাফি/অ্যানথ্রোপলজিক্যাল ফিল্ম জিতেছিল। অঞ্জন রজত কমল জেতেন "সহজ এবং মানবিক ভাবে তুলে ধরা লেপচা আদিবাসীদের জীবন ও বোধ"-এর জন্য। 
    • অরোরা বায়োস্কোপ ২০১৮ সালে ভ্যান গঁ পুরস্কার জেতে আমস্টারডাম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। 
    •  অঞ্জন ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে স্পেশাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে পুরস্কৃত হন। 
    • ১৯৯৫ সালে ৪৩তম জাতীয় পুরস্কারে অরোরার প্রযোজনায় আ লিভিং লেজেন্ড, সেরা জীবনীমূলক ছবির পুরস্কার জেতে "একজন শিক্ষাবিদ ও আইনসভার সদস্য প্রফেসর হীরেন মুখার্জীর জীবনকে আন্তরিকতার সঙ্গে তুলে ধরার জন্য"। 
    •  তাঁর সবাক ছবির অবাক গল্প বেস্ট ডকুমেন্টারি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড জেতে বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন থেকে ২০০৫ সালে। 
    • তিনি ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।
পুনশ্চ

খুব কমসংখ্যক লোকেই জানেন অঞ্জনকে যৌবনে সিনেমা বানাতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বাবার ওপরেও এই নিষেধাজ্ঞা ছিল। তিনিও অঞ্জনকে সিনেমা বানাতে দিতে চাননি। যদিও অঞ্জন তা মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। শেষ অবধি তাঁর বাবা ১৯৮১ সালে গররাজি হন। তিনি ঠিক করেছিলেন তিনি পরীক্ষা করে দেখবেন একটি তথ্যচিত্র বানাতে শুধু সুর আর সাউন্ড এফেক্টস দিয়ে এবং কোনও ভয়েস ওভার না রেখে। অ্যান এনকাউন্টার ছিল এই পরীক্ষার ফসল।

ফটো গ্যালারি