তথ্যচিত্র
প্রথম পাতা > তথ্যচিত্র

অভিজিৎ দাশগুপ্ত (১৯৪৬-বর্তমান)

অভিজিৎ দাশগুপ্ত
(১৯৪৬-বর্তমান)

ল্প বয়স থেকেই সত্যজিৎ রায় ও মৃণাল সেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন অভিজিৎ দাশগুপ্ত। শচীনদেব ও রাহুলদেব বর্মনের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁর। তাঁর নিজের কথায়, “আমার প্রথম ছবি রবীন্দ্র সরোবর লেকের একটা বেঞ্চে শুট করা। ষাটের দশকে সেই ছবি সেরা অপেশাদারি ছবির জন্য জাপানের কোকুসাই বুনকা শিনকোকাই পুরস্কার জিতে নে...

ডিপ ফোকাস

    • কলকাতা
    ১৯৭৯-তে তাঁর প্রথম তথ্যচিত্র; সম্প্রচারিত হয় ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট। এআইআর টিভি কলকাতায় প্রথম সম্প্রচার হয়েছিল সেদিন। ক্যামেরা করেন বিমান সিনহা, শব্দগ্রহণে ছিলেন শান্তনু মজুমদ...

চিত্রপঞ্জী
    • কলকাতা (১৯৭৫
    • সাগর - হোয়্যার সোলস মিট (১৯৭৮)
    • অ্যান্ড ইন জয় ফ্লোজ (১৯৭৯) 
    • রাধাকান্ত লাইব্রেরি - দ্য লস্ট এথেনিয়াম 
    • এক্সকিউজ মি হোয়েন আই কিস দ্য স্কাই 
    • ওশ্যান টু স্কাই (১৯৭৯)
    • খৈরী (১৯৭৯) 
    • দ্য আনফিনিশড স্টোরি (১৯৮৩)
    • দ্য সিতার (১৯৮৪)
    • হিস্ট্রি অফ বেঙ্গলি সিনেমা
    • বন বাণী
    • হাই ইম্প্রেশনস - স্কাই ইম্প্রেশনস
    • হোয়েন সলিচিউড ডাজ রাইট
    • সামথিং ওল্ড সামথিং নিউ
    • ছৌ  অ্যাট দ্য ক্রসরোডস
    • ব্লাড - রাইমস অফ লাইফ
    • রবিবাবুর গান 
    • টু মেক দ্য গ্রাস গ্রিনার
    • চ্যালেঞ্জিং হাইটস
    • সাগরমাতা
    • মিশন অফ লভ
    • জেলেপাড়ার সং
    • নিকোবর অ্যান্ড বিয়ন্ড
    • সেঞ্চুরি অফ সাউন্ড
    • ফ্রম মার্শল্যান্ড টু মডার্ন টাউন
    • ২০০ ইয়ার্স অফ ফোর্ট উইলিয়াম
    • মৃণাল সেন
    • বাউলস: দ্য রোভিং মিনস্ট্রেলস অফ বেঙ্গল
    • ক্যাভালরি ফরওয়ার্ড 
    • আনন্দ
    • মধুবনী -আ টাইমলেস মোটিফ
    • সাফারি
    • থ্রিলস অন হুইলস
    • ক্রেডল ফর লভ
    • সার্চিং ফর দ্য রিলিজিয়ন অফ ম্যান
    • দ্য গ্রেট সোয়ান
    • আ গিফট আনওপেনড
    • অল ফর গডস ল্ভ
    • এ গাড়ি চলছে আজব কলে
    • হাশ- ইফ দে হিয়ার
    • কলকাতা প্রোটেস্টস
    • স্বামীজি
    • দ্য জেল
    • দ্য পেন অ্যান্ড দ্য ব্রাশ 
    • হোয়্যার ইজ উমা 
    • আসিয়ান (২০০৪)
    • মেটামরফসিস
    • বীরাঙ্গনা কাহিনী
    • সেলিম মুন্সী
    • নাটক ইতিহাস দর্পণ
    • দুর্গাপূজা ডাউন দ্য এজেস
    • বাংলা থিয়েটার- দ্য যাত্রাজ
    • অ্যান এক্সপিরিয়েন্স (২০১২)
    • স্বামীজি (২০১৩)
    • বয়লিং ইনসাইড (২০১৪)
    • ইকোজ্‌ (২০১৮)
    • এ গাড়ি চলছে আজব কলে  (২০২০)
    • আহী (২০২০)
    • হোয়্যার ইজ্ উমা (২০২০)
    • হেলথ কেয়ার— হু কেয়ারস্‌? (২০২০)
    • ম্যালেইজ্‌ অফ ম্যানকাইন্ড (২০২১)
    • ইনটুইটিভ সায়েন্টিস্ট (২০২১)
পুরস্কার
    • অ্যান্ড ইন জয় ফ্লোজ্‌ দ্য লুইট ছবিটি যুগোশ্লাভিয়ায় আয়োজিত নিরপেক্ষ রাষ্ট্রসমূহের (Non-Aligned Countries) প্রথম চলচ্চিত্র উৎসবে রৌপ্য পদক জেতে। 
    • দ্য আনফিনিশড স্টোরি সেরা তথ্যচিত্রের জন্য ডিডি জে এন গৌর স্মারক জাতীয় পুরস্কার জেতে। 
    • ১৯৮৪ সালের জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কারে সেরা তথ্যচিত্র ঘোষিত হয় দ্য সিতার। 
    • হাই ইমপ্রেশনস – স্কাই ইমপ্রেশনস ইউরোভিশন পুরস্কার জেতে। 
    • বাউলস: দ্য রোভিং মিনস্ট্রেলস অফ বেঙ্গল সেরা তথ্যচিত্র হিসেবে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার রাদুগা পুরস্কার জেতে। 
    • ২০১০ সালে বিয়ন্ড বিলিফ স্ট্রসবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফেস্টিভ্যাল এবং ভারতের ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার জেতে। 
    • দ্য জেল ২০০৯ সালে সান ফ্রান্সিসকো গোল্ডেন গেট ফেস্টিভ্যাল, ভারতের ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ব্রাসেলস ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফেস্টিভ্যাল, ফেস্তিভাল দ্য সিনেমা দে পারি এবং শিকাগো ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি অ্যান্ড ফিকশন ফেস্টিভ্যাল-এ সেরা তথ্যচিত্রের পুরস্কার জেতে। 
    • ২০১১ সালে ইন্ডীয়ান ডকুমেন্টারি প্রোডিউসারস্‌ অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে সেরা থিম-ভিত্তিক ছবির পুরস্কারও জেতে এই ছবি। 
    • ১৯৮১ সালে মধুবনী— আ টাইমলেস মোটিফ বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস্‌ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সেরা তথ্যচিত্রের পুরস্কার জেতে। সামথিং ওল্ড সামথিং নিউ জার্মানির প্রি জুনেস পুরস্কার জেতে। বিয়ন্ড বিলিফ ১-৮ সেরা তথ্যচিত্রের তকমা পায় ফেস্তিভাল দ্য সিনেমা দে পারি এবং ব্রাসেলস্‌ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। 
    • শিকাগো উৎসবে সেরা সামগ্রিক বাস্তবায়ন (Integral Realization), গ্রানাডা উৎসবে সেরা পরিচালনা, এবং নিউ ইয়র্ক উৎসবে সেরা চিত্রগ্রহণের পুরস্কারও পায় এই ছবিটি।

পুনশ্চ

অভিজিৎ বর্তমানে স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের নানা অজানা তথ্য নিয়ে একাধিক ছবির একটি সিরিজের কাজে ব্যস্ত। এই সিরিজের প্রথম ছবি নরেন: ইনটুইটিভ সায়েন্টিস্ট-এ এমন কিছু তথ্য আছে যা থেকে বোঝা যায় বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে স্বামীজির অবদান স্বীকার করেছিলেন সম্ভবত অ্যালবার্ট আইনস্টাইন স্বয়ং। বিবেকানন্দকে নিয়ে এটি অভিজিতের পঞ্চম কাজ। এই সিরিজের প্রথম ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন জয়ন্ত কৃপালনী অভিনীত এক পাগলাটে বিজ্ঞানী, যিনি টাইম মেশিনে চেপে মহাকাশে যান তাঁর গুরুর খোঁজে, যিনি কিনা এক ‘ইনটুইটিভ সায়েন্টিস্ট’, বা সহজাত বিজ্ঞানী। কৃপালনী অভিনীত চরিত্রের সঙ্গে এমন দুই অল্পবয়সী চরিত্রের এক কথোপকথন শুরু হয় যারা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে ভারতের অবদান এবং এখানকার সহজাত বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে কিছুই জানে না। এই বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করতে ইসরো-র প্রাক্তন ডিরেক্টর টিজিকে মূর্তি এবং ভারতীয়-মার্কিন কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট সুভাষ কাকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। আইনস্টাইন ছাড়াও সার্বিয়ান-মার্কিন ভবিষ্যৎবাদী (futurist) নিকোলা টেসলার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে এখানে। ম্যালেইজ্‌ অফ ম্যানকাইন্ড ছবিটিতে পাচারচক্র থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের কিছু মর্মভেদী জীবনকাহিনি রয়েছে। উদ্ধার হওয়ার আগে তিন বছর ক্রীতদাসী ছিলেন এক মহিলা; ক্রমাগত শারীরিক ও যৌন অত্যাচারের কারণে যন্ত্রণা হলে তাঁকে বলা হত হলুদ জলে স্নান করতে। থানা-পুলিশের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন আর এক জন। তাঁর কথায়, “আমায় বলা হল, আমিই নাকি ছেলেটাকে ফাঁসিয়েছি। এমনকী যে চেয়ারটায় বসেছিলাম সেটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ওরা বলছিল, ‘চেয়ারটাও নোংরা করে দেবে! সরে যাও, বাইরে যাও!’”