অল্প বয়স থেকেই সত্যজিৎ রায় ও মৃণাল সেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন অভিজিৎ দাশগুপ্ত। শচীনদেব ও রাহুলদেব বর্মনের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁর। তাঁর নিজের কথায়, “আমার প্রথম ছবি রবীন্দ্র সরোবর লেকের একটা বেঞ্চে শুট করা। ষাটের দশকে সেই ছবি সেরা অপেশাদারি ছবির জন্য জাপানের কোকুসাই বুনকা শিনকোকাই পুরস্কার জিতে নে...
অভিজিৎ বর্তমানে স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের নানা অজানা তথ্য নিয়ে একাধিক ছবির একটি সিরিজের কাজে ব্যস্ত। এই সিরিজের প্রথম ছবি নরেন: ইনটুইটিভ সায়েন্টিস্ট-এ এমন কিছু তথ্য আছে যা থেকে বোঝা যায় বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে স্বামীজির অবদান স্বীকার করেছিলেন সম্ভবত অ্যালবার্ট আইনস্টাইন স্বয়ং। বিবেকানন্দকে নিয়ে এটি অভিজিতের পঞ্চম কাজ। এই সিরিজের প্রথম ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন জয়ন্ত কৃপালনী অভিনীত এক পাগলাটে বিজ্ঞানী, যিনি টাইম মেশিনে চেপে মহাকাশে যান তাঁর গুরুর খোঁজে, যিনি কিনা এক ‘ইনটুইটিভ সায়েন্টিস্ট’, বা সহজাত বিজ্ঞানী। কৃপালনী অভিনীত চরিত্রের সঙ্গে এমন দুই অল্পবয়সী চরিত্রের এক কথোপকথন শুরু হয় যারা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে ভারতের অবদান এবং এখানকার সহজাত বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে কিছুই জানে না। এই বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করতে ইসরো-র প্রাক্তন ডিরেক্টর টিজিকে মূর্তি এবং ভারতীয়-মার্কিন কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট সুভাষ কাকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। আইনস্টাইন ছাড়াও সার্বিয়ান-মার্কিন ভবিষ্যৎবাদী (futurist) নিকোলা টেসলার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে এখানে। ম্যালেইজ্ অফ ম্যানকাইন্ড ছবিটিতে পাচারচক্র থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের কিছু মর্মভেদী জীবনকাহিনি রয়েছে। উদ্ধার হওয়ার আগে তিন বছর ক্রীতদাসী ছিলেন এক মহিলা; ক্রমাগত শারীরিক ও যৌন অত্যাচারের কারণে যন্ত্রণা হলে তাঁকে বলা হত হলুদ জলে স্নান করতে। থানা-পুলিশের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন আর এক জন। তাঁর কথায়, “আমায় বলা হল, আমিই নাকি ছেলেটাকে ফাঁসিয়েছি। এমনকী যে চেয়ারটায় বসেছিলাম সেটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ওরা বলছিল, ‘চেয়ারটাও নোংরা করে দেবে! সরে যাও, বাইরে যাও!’”