কবি ও পরিচালক সত্তার পাশাপাশি বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপকও ছিলেন। বহু পত্রপত্রিকায় তাঁর বহু কবিতা নানা সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর নির্মিত সব ছবিতেই তাঁর কাব্যভাষার স্বতন্ত্র ছাপ ধরা পড়ে। কাহিনিচিত্রর পাশাপাশি অনেকগুলি তথ্যচিত্রও পরিচালনা করেছিলেন বুদ্ধদেব। তাঁর নিজের কথায়, তিনি একটা করে কাহিনিচিত্র বানাতেন, আর তার পরে একটা করে তথ্যচিত্র। “চিত্রনাট্যের প্রথম শব্দগুলো লেখা থেকে শুরু করে প্রথম প্রিন্টের কালার কারেকশন পর্যন্ত একটা ছবি বানানোর যে পুরো প্রক্রিয়াটা, সেটা মানুষকে পাগল করে দিতে পারে, তাকে এমন একটা ভয়ের গভীরে ঠেলে দিতে পারে যে কাজটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর মানুষ সম্পূর্ণ একা হয়ে যায়,” একবার বলেছিলেন তিনি। একাধিক জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন, ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ইন্ডিয়ান প্যানোরামায় নির্বাচিত হয়েছে তাঁর বেশ কিছু তথ্যচিত্রও।
১৯৯৯ সালে কবি শঙ্খ ঘোষ বুদ্ধদেবকে নিয়ে পোর্ট্রেট নামে একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছিলেন। ছবিটিতে পরিচালকের পিয়ানো বাজানোর ফুটেজ আছে। ২০১৫ সালে তাঁকে নিয়ে মায়েস্ত্রো – আ পোর্ট্রেট (বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত) নামে ৫২ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র বানান সুপ্রিয়া সুরি।