চিত্রগৃহের বিবরণ

প্রথম পাতা > চিত্রগৃহের বিবরণ
রিগাল

রিগাল


ঠিকানা: ৪ এস এন ব্যানার্জী রোড, কলকাতা ১৩

আগের নাম : ইলেকট্রিক থিয়েটার, বিজু থিয়েটার, অ্যালবিয়ন

ইলেকট্রিক থিয়েটার ছিল উনিশ শতকের একটি নাট্যমঞ্চ। কালীপ্রসন্ন সিংহের পোষ্যপুত্র বিজয়ের  উদ্যোগে তা সিনেমা হলে রূপান্তরিত হওয়ায় এর নাম হয় বিজু থিয়েটার। তবে ১৯১৫ সালে এটি যখন ম্যাডানদের হস্তগত হয়, তখনও ইলেকট্রিক থিয়েটার নামটা একেবারে মুছে যায়নি। পরে এর নাম হয় অ্যালবিয়ন, আরও পরে  রিগাল। ১৯৬২ সালে রিগালের কর্তৃত্ব বাগারিয়াদের হাতে যায়। তখন আসনসংখ্যা ছিল ৫৭৫। ১৯৬৮ সালে হিন্দি ছবি শিকার এখানে প্রায় ৭৫ সপ্তাহ ধরে চলেছিল। হাতি মেরে সাথী (১৯৭১), জয় সন্তোষী মাও (১৯৭৫) খুব ভাল চলেছিল। ওই তখন অনেকগুলো বড় হলের ভিড়। বাগারিয়ারা তাই পৌরাণিক ছবি আর পুরনো হিন্দি ছবির উপরে ভরসা করার কৌশল নিলেন। বৈজু বাওরা, নয়া দৌর এবং গুঞ্জ উঠি শেহনাই নতুন করে এনে ভাল ব্যবসা পেল রিগাল। ভোজপুরি ছবিও দেখানো হতে থাকল। কিন্তু আশির দশকে টিভি আর নব্বইয়ের দশকে ভিডিওর আগমনে পুরনো সিনেমার ব্যবসা কমে গেল। আরও অনেক হলের সঙ্গে মার খেয়ে গেল রিগালও। টিকে থাকার দায়ে বি গ্রেড এ-মার্কা ছবি দেখানো শুরু হল। ২০০৪ সাল থেকে রিগাল চেষ্টা করতে থাকে মূলধারায় ফেরার। বাংলা ছবি দেখাতে শুরু কর তারা। অতিমারীর ঠিক আগে রিগাল ৩১২টি আসন নিয়ে মূলত নতুন বাংলা এবং হিন্দি ছবি তাদের মুক্তির এক বা দুই সপ্তাহ পর থেকে দেখাচ্ছিল। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে হলটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেখানে একটি রিটেল ফুড চেন হয়েছে।

পুনশ্চ

এই রিগালেই (তখন অ্যালবিয়ন) জীবনের প্রথম বাংলা ছবিটি দেখেন শিশু সত্যজিৎ রায়। বড়দের ছবি কাল পরিণয় দেখে ওই বয়সে অবশ্য মোটেই ভাল লাগেনি তাঁর। 

আরও রিগাল ছবি