ঠিকানা: ৩৭ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, কলকাতা ১
শুভারম্ভ: ১৯৩৬
প্রদর্শিত প্রথম ছবি: ?
এখন: বন্ধ
তিরিশের দশকের মাঝামাঝি মতিলাল রাধাকিষন এবং চামুরিয়া ব্রাদার্স প্যারাডাইস তৈরি করেন। কেউ বলেন, কলেজ গার্ল, কেউ বলেন অচ্ছুত কন্যা ছিল এখানে প্রদর্শিত প্রথম ছবি। ১৯৩৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রেক্ষাগৃহে 'অচ্ছুত কন্যা' দেখেতে এসেছিলেন। 'অচ্ছুত কন্যা'র রজত জয়ন্তীতে এসেছিলেন নেলী সেনগুপ্ত। বম্বে টকিজের ছবির জন্য প্যারাডাইস ছিল বাঁধা হল। ১৯৫২ সালে রমেশ কাপুরচাঁদ মেহতা এবং ব্রজলাল মেহতা পরিচালিত বেঙ্গল প্রপার্টিজ হলটির ভার নেয়। এল পুশব্যাক সিট এবং এয়ার কন্ডিশনার। ১৯৫৩ সালে নির্মলের দে’র 'সাড়ে চুয়াত্তর' ছিল প্যারাডাইসে প্রদর্শিত প্রথম বাংলা ছবি। প্যারাডাইস মূলত হিন্দি ছবিই দেখাত। তারকারা প্রায়ই এখানে আসতেন। 'শ্রী৪২০' (১৯৫৪) এবং 'জাগতে রহো'-র (১৯৫৬) সময় রাজ কাপুর, 'ওয়ক্ত' (১৯৬৫) এর জন্য শশী কাপুর, সুনীল দত্ত, বি আর চোপড়া এবং যশ চোপড়া, 'অমর প্রেমের' (১৯৭২) সময় রাজেশ খান্না এবং শর্মিলা ঠাকুর এসেছিলেন। দেব আনন্দ 'হাম দোনো' (১৯৬১), 'গাইড' (১৯৬৫) এবং 'জুয়েল থিফ' (১৯৬৭) এর সময়। দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু এসেছিলেন বৈরাগ (১৯৭৬) এর জন্য। 'কয়ামত সে কয়ামত তক' (১৯৮৮) এর ২৫তম সপ্তাহ উদযাপনে তারকা আকর্ষণ ছিলেন আমির খান। পরবর্তীকালে, তিনি 'থ্রি ইডিয়টস' (২০০৯) এবং 'পিকে'-র (২০১৪) জন্যও আসেন। ২০০৭-০৮ সালে আনুমানিক ১.২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ১১১৮ আসনের হলটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে দর্শক সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। দানবীর মতিলাল শীলের পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া ইজারার মেয়াদ বেঙ্গল প্রপার্টিজের হাতে আরও ৩০ বছর কিন্তু অতিমারির পরে হল তার বর্তমান চেহারায় আর খোলা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুনশ্চ
১৯৩৭ সালে দেবিকা রানি অভিনীত বম্বে টকিজের 'জীবন প্রভাত' ছবির প্রিমিয়ারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।