ঠিকানা: ৯০৫/২ ডায়মন্ড হারবার রোড। কলকাতা ৩৪
এখন: চলছে
বেহালায় অশোকা সিনেমা হলের নির্মাণ শুরু হয় ষাটের দশকের গোড়ার দিকে। বর্তমান মালিক প্রবীর রায়ের মতে, রায় পরিবার হলটি নেন শশিভূষণ মণ্ডলের কাছ থেকে। এই শশিভূষণ মণ্ডল ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রাচীন ল ফার্ম ফক্স মণ্ডলের অংশীদার। তাঁর হাত থেকে প্রবীরের বাবা প্রদীপ কুমার রায় ১৯৭০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হলটির দায়িত্ব নেন। প্রবীরের কথায়, ‘‘খুব সম্ভবত আমরা এক বছর আগে মুক্তি পাওয়া গুপি গাইন বাঘা বাইন দেখিয়ে শুরু করেছিলাম। সত্যজিৎ রায় এসেওছিলেন। তা ছাড়া ওই বছরের ১৬ জানুয়ারি মুক্তিপ্রাপ্ত আরণ্যের দিনরাত্রিও দেখানো হয়েছিল।’’ ১৯৭০-এই অশোকায় নিশিপদ্ম আর সাগিনা মাহাতোও দেখানো হয়। কখনও মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই, কখনও বা কিছু পরে। পিকনিক, প্রথম কদমফুল যেমন দেখানো হয়েছিল মুক্তির অল্প পরে। অশোকায় হিন্দি ছবিও খুব জনপ্রিয় ছিল। মুক্তির কিছু পরে এসে শোলে (১৯৭৫) এখানে ২২ সপ্তাহ চলেছিল। নাচে ময়ূরী (১৯৮৬) রজত জয়ন্তী করেছিল। রোজা (১৯৯২) এবং হাম আপকে হ্যায় কৌন..! (১৯৯৩) ২৫ সপ্তাহ চলেছিল। বাংলা অমানুষ (১৯৭৪) এবং অনুসন্ধান-ও (১৯৮১) ২২ সপ্তাহ ধরে চলে। সেই সময়ে অশোকার আসন ছিল ৯৯৮। পরে তা ৮৮৭-তে নামিয়ে আনা হয়। পরবর্তীকালে লেগস্পেস বাড়াতে আসন আরও কমে হয় ৬১৩। রাম গোপাল ভার্মার রঙ্গীলা (১৯৯৫) মুক্তির সময় অশোকার অ্যামপ্লিফায়ার এবং সাউন্ড বক্স পরিবর্তন করা হয়। ২০০০ সালে কহো না পেয়ার হ্যায় মুক্তির সময় চালু হয়েছিল ডলবি ডিজিটাল সাউন্ড। শাহরুখ খানের ওম শান্তি ওম (২০০৭) এর সময় হল ইউএফও ডিজিটাল প্রোজেকশন। বাংলা সিনেমাকে কিন্তু ভুলে যায়নি অশোকা। শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ (২০০০),মনের মানুষ (২০১০), গয়নার বাক্স (২০১৩), মিশর রহস্য (২০১৩), প্রাক্তন (২০১৬), গুপ্তধনের সন্ধানে (২০১৮) এখানে ভাল ব্যবসা দিয়েছে। চাঁদের পাহাড়ের (২০১৩) একটা শো ছয় সপ্তাহ ধরে হাউসফুল ছিল। কোভিডের পরে টলিক (২০২১), কিসমিস (২০২২) আর বেলাশুরু (২০২২) ভাল চলেছে।