ঠিকানা: ১৩৬/২ বিধান সরণি, কলকাতা ৪
শুভারম্ভ: ২.৫.১৯৪২
প্রদর্শিত প্রথম ছবি: নারী
এখন: চলছে
ছবিঘর-এর পর হরিপ্রিয় পালের তৈরি দ্বিতীয় হল ছিল হাতিবাগানের মিনার। ১৯৪২-এ এটি তৈরি হয়। শোনা যায়, মিনারের জন্য লাইসেন্স পেতে প্রথমে একটু ঝামেলা হয়েছিল। এলাকার প্রভাবশালী বাসিন্দারা কেউ কেউ আপত্তি করেছিলেন। সেই সব চ্যালেঞ্জ জয় করেই ১৯৪২ সালের ২ মে খুলল ৮৫০ আসনবিশিষ্ট দ্বিতল প্রেক্ষাগৃহ। উদ্বোধনী ছবি ছিল নিউ টকিজের নারী। উদ্বোধন করলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন কমিশনার জে সি মুখোপাধ্যায়। কলকাতায় তখন যুদ্ধের আবহ। জাপান বর্মার দখল নিয়েছে। শহর জুড়ে বোমার আতঙ্ক। সন্ধে থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ব্ল্যাকআউট। আতঙ্ক সত্যি করে ২০ ডিসেম্বর ১৯৪২ জাপ বাহিনীর বোমা পড়লও। তবে বেঁচে গেল মিনার। ৩-৬-৯টার শো নিয়ে মিনার-বিজলী-ছবিঘর ক্রমশ বাংলা ছবির বিশ্বস্ত চেন-এ পরিণত হল। সাগরিকা, পথে হল দেরি, হারানো সুর, দেয়া নেয়া, আনন্দ আশ্রম— উত্তম কুমারের এই সব ছবি এই চেনে এক বছর ধরে চলেছে।
পুনশ্চ
১৯৪৭ সালের ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষে মিনারে দেখানো হয় সমর ঘোষ পরিচালিত দেশের দাবি। এই বিশেষ শো-তে প্রধান অতিথি ছিলেন শরৎচন্দ্র বসু। আইএনএ-র সেনানী হাবিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য ছবি (১৯১৭-১৯৯৯)
নির্জন সৈকতে (১৯৬৩), বাড়ি থেকে পালিয়ে (১৯৫৯), দীপ জ্বেলে যাই (১৯৫৯), দেবী (১৯৬০), হসপিটাল (১৯৬০), ঝিন্দের বন্দী (১৯৬১), বিপাশা (১৯৬২), দাদাঠাকুর (১৯৬২), হাঁসুলি বাঁকের উপকথা (১৯৬২), বাঘিনী (১৯৬৮), লাঠি (১৯৯৬), উনিশে এপ্রিল (১৯৯৬), দামু (১৯৯৭)