ঠিকানা: ৫ সদানন্দ রোড, কলকাতা ২৬
শুভারম্ভ: ১৪.২.১৯৪৮ (সিনেমা হল হিসেবে)
প্রদর্শিত প্রথম ছবি: ঘুমিয়ে আছে গ্রাম
এখন: ভাঙা পড়েছে
কালিকা থিয়েটার প্রতিষ্ঠার পেছনে অন্যতম প্রধান চালক ছিলেন রামচন্দ্র চৌধুরী। প্রথম জীবনে একজন পুলিশ কমিশনার, পরে আইন পাশ করে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। মনেপ্রাণে থিয়েটারে উত্সাহী রামচন্দ্র শিশির ভাদুড়ীর প্রবল ভক্ত ছিলেন। শিশির ভাদুড়ীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি ইউবিআই ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রধান এস এন সিনহার সাথে এই প্রেক্ষাগ়ৃহটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর উদ্বোধন করেছিলেন। প্রথম নাটক মঞ্চস্থ হল শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বৈকুণ্ঠের উইল। তবে কালিকা বিখ্যাত হয়েছিল পৌরাণিক নাটকের জন্য। কৃষ্ণচন্দ্র দে, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র এখানে নাটক করেছেন। কীর্তন গায়িকা রাধারানী দেবী বিখ্যাত হওয়ার আগে রামচন্দ্র তাঁকে এই মঞ্চেই প্রথম অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। যুগাবতার নাটকে গিরিশ ঘোষের ভূমিকায় অভিনয় করেন রামচন্দ্র নিজেই। ওঁর পাঁচ পুত্র ছিল। তাঁদের একজন অরুণ চৌধুরী ক্যালিফোর্নিয়ায় চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ফিরে এসে তিনি একাধিক তথ্যচিত্র তৈরি করেন। ১৯৪৮ সালে কালিকা মঞ্চকে সিনেমা হলে রূপান্তর করতে অরুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। মুভিটোন লিমিটেডের ‘ঘুমিয়ে আছে গ্রাম’ ছিল কালিকায় প্রদর্শিত প্রথম ছবি। দুটি প্রজেক্টর ব্যবহার করা হয়েছিল। যেহেতু এটি প্রথম একটি পর্যায় ছিল, স্ক্রিনিংয়ের সময় যখন চলচ্চিত্রের গানগুলি বাজানো হয় তখন ধ্বনিতত্ত্ব আসলে একটি চারপাশের শব্দের প্রভাব দেয়। শ্রী ৪২০ ছবির প্রদর্শনের সময় রাজ কাপুর এখানে এসেছিলেন।
পুনশ্চ
রামচন্দ্র চৌধুরী কালীভক্ত ছিলেন। সেই থেকেই হলের নাম হয় কালিকা।
উল্লেখযোগ্য ছবি (১৯১৭-১৯৯৯)
ঘুমিয়ে আছে গ্রাম, শাঁখা সিঁদুর, মহিষাসুর বধ, অভাগীর স্বর্গ