চিত্রগৃহের বিবরণ

প্রথম পাতা > চিত্রগৃহের বিবরণ
বিজলী

বিজলী


ঠিকানা: ৬/১ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড, কলকাতা ২৫

শুভারম্ভ: ৮।৩।১৯৩৫

প্রদর্শিত প্রথম ছবি: দ্য লাইফ অফ আ বেঙ্গল ল্যান্সার

এখন: চলছে

১৯৩১ সালে ছবিঘর সিনেমা হল তৈরির পরে হরিপ্রিয় পাল ভবানীপুরে বিজলী হলটি নির্মাণ করেন। নাম রাখলেন নিজের মেয়ের নামে। ৯০০ আসন নিয়ে ১৯৩৫ সালে তৈরি হল বিজলী। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বসল ষাটের দশকে। তত দিনে মিনার-বিজলী-ছবিঘর বাংলা ছবির অন্যতম বড় চেন হয়ে উঠেছে। বিজলীতে তিনটি লবি আছে। দু'টো নীচে, অন্যটা দোতলায়, যেখানে ড্রেস সার্কল আর ব্যালকনি আছে। এখন ব্যালকনিতে ১৮৮ আর নীচে রিয়ার স্টলে ৬১৪ আসন রয়েছে।  বিজলীতে গুগাবাবা ৬০ সপ্তাহ চলেছিল, আনন্দ আশ্রম চলেছিল ৭৫ সপ্তাহ। ঋত্বিক ঘটকের যুক্তি তক্কো গপ্পো, ঋতুপর্ণ ঘোষের উনিশে এপ্রিল মুক্তি পেয়েছিল বিজলীতেই। পিকু আর সদগতির বিশেষ শো, তরুণ মজুমদারের আলো ছবির প্রিমিয়ার এখানে হয়। ২০১৯ সালে ভারতের অস্কার এন্ট্রি বাছাইয়ের বৈঠকও অপর্ণা সেনের নেতৃত্বে এখানে হয়।  

পুনশ্চ

গল্পসল্প করার জন্য কানন দেবীর প্রিয় জায়গা ছিল বিজলী। মণিহার ছবির মুক্তির সময় এক বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল বিজলীতে। গান গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

উল্লেখযোগ্য ছবি (১৯১৭-১৯৯৯)

হরিশচন্দ্র (১৯৩৫), বাড়ি থেকে পালিয়ে (১৯৫৯), দীপ জ্বেলে যাই (১৯৫৯), দেবী (১৯৬০), হসপিটাল (১৯৬০), ঝিন্দের বন্দী (১৯৬১), বিপাশা (১৯৬২), দাদাঠাকুর (১৯৬২), হাঁসুলি বাঁকের উপকথা (১৯৬২), নির্জন সৈকতে (১৯৬৩), বাঘিনী (১৯৬৮), লাঠি (১৯৯৬), উনিশে এপ্রিল (১৯৯৬), দামু (১৯৯৭)

আরও বিজলী ছবি