ঠিকানা: ১৩৮ বিধান সরণি, কলকাতা ৪
শুভারম্ভ: ১৯২১
এখন: ভেঙে শপিং মল হয়েছে
আগের নাম : কর্নওয়ালিস থিয়েটার
হাতিবাগানে শ্রী-উত্তরা ইত্যাদি সিনেমা হল যেখানে গড়ে উঠেছিল, সেটা আগে ছিল একটা মাঠ। লোকে বলত, হেগোডাঙার মাঠ। পরে সেখানে সার্কাসের তাঁবু পড়া শুরু হয়। ম্যাডান কোম্পানিও দেখাদেখি তাঁবু ফেলে সিনেমা দেখানো শুরু করে। সেই তাঁবুরই একটি ১৯২১ সালে পাকা নাটমঞ্চ হয়ে ওঠে। নাম হয় কর্নওয়ালিস থিয়েটার। সেখানে একাধারে নাটকের অভিনয় এবং সিনেমার প্রদর্শন হত। ম্যাডানদের ছবিই দেখানো হত। ১৯২৬ থেকে ১৯৩০ এখানে শিশিরকুমার ভাদুড়ী নাট্যমন্দির নাম দিয়ে একটি মঞ্চ চালিয়েছেন। পরে এই মঞ্চই শ্রী সিনেমায় রূপান্তরিত হয়।
পুনশ্চ
ম্যাডান কোম্পানির সঙ্গে থেকে শিশিরকুমার এই কর্নওয়ালিস মঞ্চে একাধিক বিখ্যাত নাটক করেছেন। আলমগীর, রঘুবীর এবং চন্দ্রকান্ত তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখযোগ্য ছবি (১৯১৭-১৯৯৯)
কর্নওয়ালিস থিয়েটার: বিল্বমঙ্গল (১৯১৯), মহাভারত (১৯২০), বালিকা বধূ (১৯২১), বিষ্ণু অবতার (১৯২১), ধ্রুব চরিত্র (১৯২১), মা দুর্গা (১৯২১), শিবরাত্রি (১৯২১), বিষবৃক্ষ (১৯২২), বিয়ের বাজার (১৯২২), রত্নাবলী (১৯২২), সোল অফ আ স্লেভ (১৯২২), মানভঞ্জন (১৯২৩), মাতৃস্নেহ (১৯২৩), মিশররানি (১৯২৫), পুনর্জন্ম (১৯২৭), শঙ্করাচার্য (১৯২৭), কেলোর কীর্তি (১৯২৮), কাল পরিণয় (১৯৩০), কণ্ঠহার (১৯৩০), মৃণালিনী (১৯৩০), পঞ্চশর (১৯৩০), চরিত্রহীন (১৯৩১), টাকায় কী না হয় (১৯৩১), নৌকাডুবি (১৯৩২), শচীদুলাল (১৯৩৪)
শ্রী: পথের শেষে (১৯৩৬), সরলা (১৯৩৬), পণ্ডিতমশাই (১৯৩৬), তরুবালা (১৯৩৬), হারানিধি (১৯৩৭), ইম্পস্টার (১৯৩৭), রেশমী রুমাল (১৯৩৮), দত্তা (১৯৫১), বিন্দুর ছেলে (১৯৫২), পথিক (১৯৫৩), সাগরিকা (১৯৫৬), বিচারক (১৯৫৯), মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০), পুনশ্চ (১৯৬১), স্বরলিপি (১৯৬১), অভিযান (১৯৬২), অতল জলের আহ্বান (১৯৬২), মহানগর (১৯৬৩), সাত পাকে বাঁধা (১৯৬৩), চারুলতা (১৯৬৪), নায়ক (১৯৬৬), ফটিকচাঁদ (১৯৮৩), কোনি (১৯৮৬)