ব্যতিক্রমী অভিনেত্রী এবং পরিচালক মঞ্জু দে'র তাঁর প্রথম পরিচালিত 'স্বর্গ হতে বিদায়' (১৯৫৪) ছবির জন্য, বাঁধাধরা গতের বাইরে গিয়ে, বেছে নিয়েছিলেন মিউজিক্যাল কমেডির মতন একটি অপ্রচলিত ধারা। অসামান্য নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন, দৃঢ়চেতা এই নারীর অন্তরে ছিল তাঁর জীবনের একমাত্র ভালবাসা, পরিচালক তপন সিনহার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার গভীর ক্ষত। সত্যিকার বন্ধু মেলা ভার, কিন্তু মঞ্জু দে সহমর্মিতার আস্বাদ পেয়েছিলেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে। বাংলার প্রথম অভিনেত্রী থেকে পরিচালক হয়ে ওঠা এই অসামান্যার সাথে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণ করলেন অশীতিপর অভিনেত্রী।
বিএফএ এই কাজটার দায়িত্ব নিল কেন?
হৃদয়ের দিকনির্দেশে সম্ভবত সর্বশ্রেষ্ঠ তারকাদেরও জীবন ও পেশার গতিপথ বদলে যেতে পারে! বাংলা ছবির প্রথম মহিলা পরিচালক হিসেবে টলিউডে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদার না পেলেও অভিনেত্রী এবং পরিচালক মঞ্জু দে প্রাধান্য দিয়েছিলেন হৃদয়কে।
বিএফএর অংশ হিসেবে আমরা নারীর ক্ষমতায়নের একদম গোড়ার দিকের অন্যতম এই প্রতিভূর দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অন্তরালে থাকা আসল মানুষটিকে জানতে চেয়েছি। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবির নায়িকা মাধবী মুখোপাধ্যায়ের শিক্ষাবিদ কন্যারত্ন মিমি ভট্টাচার্যের মতন করে এই আখ্যানকে আর কেউই সর্বসমক্ষে সযত্নে উপস্থাপিত করতে পারত না বলে আমাদের বিশ্বাস!
মঞ্জু দে'ই ছিলেন বাংলা ফিল্মজগতের সেই প্রথম অভিনেত্রী যিনি অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করেন। তিনি ছিলেন খুবই উদ্যমী, স্বাবলম্বী এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্না এক নারী। তখনকার দিনে নিজে গাড়ি চালিয়ে ঘোরাফেরা করতেন। উনিও মহিলা শিল্পী মহলের সাথে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় সুচিত্রা সেন ছাড়া প্রায় সব মহিলা অভিনেত্রীই ছিলেন মহিলা শিল্পী মহলের সদস্য।
মঞ্জু দে'র অনেক ছবিই আমি দেখেছিলাম। তার মধ্যে অন্যতম কালীপদ ঘোষ পরিচালিত 'কার পাপে' (১৯৫২)। সেই ছবিতে তাঁর অভিনয় ছিল অতুলনীয়। আমার মতে, অভিনেত্রী হিসেবে মঞ্জু দে'র ধারে কাছে কেউ ছিলনা।
গুরু বাগচীর তৈরি ‘তীর ভূমি’ (১৯৬৯) ছবিতে মঞ্জু-দি ছিলেন আমার মায়ের ভূমিকায়। আমার বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বিকাশ রায়। বাবা সবার অগোচরে আরেকটা বিয়ে করেছিলেন। আমি বিবাহবহির্ভূত সেই সম্পর্কের সন্তান। পরে বাবা আমায় স্বীকৃতি দেন কিন্তু মা (মঞ্জু দে) স্বীকৃতি দেননি।
ছবিতে একটা দৃশ্য ছিল যেখানে মায়ের আমায় স্বীকৃতি না দেওয়া নিয়ে বচসার সৃষ্টি হয়। আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করব যে উনি কেন আমাকে স্বীকৃতি দেবেন না এবং উনি এর উত্তরে আমায় থাপ্পড় মারবেন।
কিন্তু মঞ্জু-দি কিন্তু দৃশ্যটি না করবার অনুরোধ জানিয়ে বলেছিলেন, "না, না আমি মাধুকে মারতে পারব না। অন্য কিছু ভাব তোমরা।" সকলেই তাঁকে জানায় যে ওই দৃশ্যে অন্য কিছু মানাবে না, থাপ্পড়টাই জুতসই হবে। এমনকি বিকাশ-দাও বললেন, "না চড়টা তো মারতেই হবে, এরম করলে তো হবেনা
কিন্তু মঞ্জু-দি কিন্তু দৃশ্যটি না করবার অনুরোধ জানিয়ে বলেছিলেন, "না, না আমি মাধুকে মারতে পারব না। অন্য কিছু ভাব তোমরা।" সকলেই তাঁকে জানায় যে ওই দৃশ্যে অন্য কিছু মানাবে না, থাপ্পড়টাই জুতসই হবে। এমনকি বিকাশ-দাও বললেন, "না চড়টা তো মারতেই হবে, এরম করলে তো হবেনা।" আমিও ওনাকে উৎসাহ দিতে বলেছিলাম, "মারুন কিচ্ছু হবেনা, আমার কিচ্ছু হবেনা।" তারপর এমন একখানা চড় মেরেছিলেন যে আমার মাথা বনবন করে ঘুরে গেছিল। পরে অবশ্য অনেক আদরটাদর করে দেন আমায়।
তপন সিনহার প্রথমদিকের ছবিগুলি তৈরির ক্ষেত্রে
মঞ্জু-দির অবদান অপরিসীম। তপন বাবুর 'টনসিল' ছবিতে আমি নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করি। উনি সেটে থাকলেও কাজের ব্যাপারে যা, যা নির্দেশ দেবার সব মঞ্জু-দি'ই দিতেন। একবার একটা ট্রেনে ধরার দৃশ্য ছিল। মঞ্জু-দি গাড়িটা চালাচ্ছিলেন আর আমি ওনার পাশে বসেছিলাম।
উনি মাঝেমধ্যেই হঠাৎ করে ঘোরাঘুরির প্ল্যান করে ফেলতেন। এই হয়ত বলে উঠলেন, "মাধু-কে বাদ দাও, ও হাফ টিকিট! বাদবাকি, তোমরা কে, কে ল্যাংচা খেয়েছ? চল সবাই ল্যাংচা খেয়ে আসি।" এরপর ওনার গাড়িতে অনুভা-দি সহ আমরা চারজন মিলে চলে শক্তিগড়ে গিয়ে, ল্যাংচা খেয়ে আবার ফিরে এলাম। এভাবে, আজ এখানে, কাল সেখানে প্রায়শই যাওয়া হত। আর আমি ছিলাম ফাউ, মঞ্জু-দির সঙ্গে, সঙ্গে যেতাম।
সেই ছবিতে আমি ছিলাম নায়িকা আর দিলীপ মুখার্জী নায়ক। কিন্তু দিলীপ-দার সাথে আমার এমন সম্পর্ক ছিল যে আমিও ওনাকে আমার নায়ক ভাবতে পারতাম না আর উনিও আমাকে কিছুতেই নিজের নায়িকা ভাবতে পারতেন না
এই সূত্রে মঞ্জু-দি'র পরিচালিত প্রথম ছবির শ্যুটিংয়ের সময়কার একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেই ছবিটির নাম 'স্বর্গ হতে বিদায়' (১৯৬৪)। অনুভা গুপ্ত, পাহাড়ি স্যান্যাল, জহর রায়, বিকাশ রায়, দীপক মুখোপাধ্যায়, শ্যাম লাহা, অজিত চট্টোপাধ্যায়, সুমিতা স্যান্যাল, বিপিন গুপ্ত, নীতিশ মুখোপাধ্যায়, নৃপতি চট্টোপাধ্যায় এবং সুখেন দাস এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। সেই ছবিতে আমি ছিলাম নায়িকা আর দিলীপ মুখার্জী নায়ক। কিন্তু দিলীপ-দার সাথে আমার এমন সম্পর্ক ছিল যে আমিও ওনাকে আমার নায়ক ভাবতে পারতামনা আর উনিও আমাকে কিছুতেই নিজের নায়িকা ভাবতে পারতেননা। ওনার সাথে নানান বিষয়ে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা হত।
একবার আমরা যখন একই স্টুডিওতে কাজ করছিলাম উনি আমায় ওনার বিয়ে ঠিক হবার খবর জানান। আলাদা করে ডেকে উনি আমায় বলেছিলেন, "এদিকে একটু আসুন তো, দরকারি কথা আছে, আপনি বসুন। আমার একটা বিয়ে ঠিক হয়েছে।" আমি বললাম, "আপনার তাকে পছন্দ?" উনি বললেন, "না, সে আমাকে পছন্দ করেছে।" আমার মনে হয়েছিল এমন বিয়েতে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। সেই শুনে উনি ভয়ে পেয়ে বিয়েটা ভেঙে দেবেন কিনা জানতে চেয়েছিলেন। আমি বললাম, "তাহলে তো গন্ডগোল হবে।" উনি বললেন, "গন্ডগোল! তাহলে করব না!" আমি বলেছিলাম, "না, আপনি আগে তার সাথে মিশুন, দেখুন আপনার তাঁকে পছন্দ হয় কিনা।" আমরা এইভাবেই কথা বলতাম।
মঞ্জু দের 'স্বর্গ হতে বিদায়' ছবিতে মাধবী মুখোপাধ্যায়
মঞ্জু-দির প্রথম ছবিতে দিলীপ বাবু ছিলেন আমার বয়ফ্রেন্ড। ছবিতে মঞ্জু-দি একটা রোম্যান্টিক দৃশ্য রেখেছিলেন। কিন্তু আমার বা দিলীপ বাবুর কারোর মুখেই সেই দৃশ্যের জন্য প্রয়োজনীয় অভিব্যক্তি ফুটছিল না। মঞ্জু-দি এসব দেখে চেঁচিয়ে উঠলেন, "এটা কী হচ্ছে!" এরপর, আমাদের ডেকে উনি দু'জনের গায়েই সুগন্ধী ছিটিয়ে দিলেন। তারপর উনি বললেন, "দিলীপ বাবু আপনি এগিয়ে আসুন, আপনার গায়ে গন্ধটা কেমন মাধবী পরখ করুক।" আমি দেখলাম দিলীপ বাবুর গায়ে সুগন্ধীর ভারী সুন্দর গন্ধ। মঞ্জু-দি দিলীপ বাবুকে আমার গায়ে ছেটানো সুগন্ধীটা কেমন যাচাই করতে বলেন। উনি আমাদের গায়ে দুটো আলাদা পারফিউম ছিটিয়েছিলেন। মঞ্জু-দি বললেন, "কী ভাল লাগছে তো পারফিউমটা?" আমরা মাথা নাড়লাম। উনি বললেন, "যাও তাহলে এভাবেই কাজটাও সেরে ফেল"। আমরাও সেভাবেই ওই রোম্যান্টিক দৃশ্যটি উতরে দিয়েছিলাম।
আমি একবার ওনার বারান্দায় রাখা নানান বাহারি ফুলের গাছ দেখতে গেলাম। উনি আমায় বলেছিলেন সব ফুলের মধ্যে সাদা রঙের ছোট, ছোট দোলনচাঁপা ওনার সবচেয়ে বেশি প্রিয়। উনি বলেছিলেন, "ভাললাগে এই জন্য যে একে আমি তুলতে পারি আর আমার কাছে রাখতেও পারি"
আউটডোরে গিয়ে মঞ্জু-দি আর আমি একসাথে শুতাম। আজকে পিছন ফিরে তাকালে হলপ করে বলতে পারি যে ফিল্ম জগতে ওনার সাথে যাঁদের সবচেয়ে গভীর সখ্যতা ছিল, সৌভাগ্যক্রমে আমি তাঁদের একজন।
মঞ্জু-দি একবার স্ক্রিপ্ট পড়বার জন্য আমায় ওনার বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। আমি গিয়ে দেখলাম বাড়িতে উনি একাই থাকেন। আমায় বললেন, "তুই বস, আমি টুক করে রান্না সেরে নিই"। ওনার রান্নাঘরটাও খুব সুন্দর করে সাজানো ছিল। রান্না করতে, করতেই কথা বলে যাচ্ছিলেন। এভাবেই সব কাজ শেষ করলেন। খাওয়ার পর মঞ্জু-দি সব তুলে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তখন আমি একবার ওনার বারান্দায় রাখা নানান বাহারি ফুলের গাছ দেখতে গেলাম। উনি আমায় বলেছিলেন সব ফুলের মধ্যে সাদা রঙের ছোট, ছোট দোলনচাঁপা ওনার সবচেয়ে বেশি প্রিয়। উনি বলেছিলেন, "ভাললাগে এই জন্য যে একে আমি তুলতে পারি আর আমার কাছে রাখতেও পারি।"
তপন সিনহা
আমি ওনার দুঃখের কথা জানতাম। ওনার জীবনের একটা ঘটনার কথা আমি আজও ভুলতে পারিনি। একদিন রাণী রাসমণির বাড়ির একজন মহিলার সাথে আমাদের দেখা হয়েছিল। উনি মঞ্জু-দি'কে বিখ্যাত একজন মানুষের নাম বলে জিজ্ঞেস করেন তাঁর সাথে আর দেখা হয় কিনা। এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে মঞ্জু-দি'র মতন শক্ত মানুষের যা অবস্থা হয়েছিল তা ভোলার নয়। ওই মহিলা এই প্রশ্ন করতেই মঞ্জু-দি কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। ওনাকে ওভাবে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখাটাও ছিল খুব কষ্টের। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
যে ব্যক্তির জন্য মঞ্জু-দি ওরকম করে কেঁদেছিলেন তিনি অনেক ছবি পরিচালনা করেছেন। প্রথমদিকে যত ছবি তিনি বানিয়েছেন সবকটাতেই মঞ্জু-দি ছিলেন। মঞ্জু-দি'ই তাঁকে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সাহায্য করেছিলেন। সেই ব্যক্তি আর কেউই নয়, পরিচালক তপন সিনহা। মঞ্জু-দি তাঁকে গভীরভাবে ভালবাসতেন। আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে উনি যখন তপন বাবুকে এতটা ভালোবাসতেন তাহলে বিয়ে করলেন না কেন! উনি বলেছিলেন যে তপন বাবুর মা চাইতেন না যে কোন অভিনেত্রীর সাথে ছেলের বিয়ে হয়। তিনি চাইতেন তাঁর ছেলের বউ হবে একদম ঘরোয়া একটি মেয়ে। তাই ওনাদের বিয়ে হয়নি। মঞ্জু-দি সেইজন্য এটা বলেই নিজেকে সান্ত্বনা দিতেন যে তাঁর ভাগ্যে বিয়ে বা সংসার করাটা নেই।
আমি ঠিক জানিনা কেন ওনারা আলাদা হয়ে গেছিলেন। আমি মঞ্জু-দির উপস্থিতিতে কোনদিন ওনার নাম উচ্চারণ করিনি কিন্তু যখনই কেউ তপন বাবুর নাম বলত উনি একটা বাচ্চার মত কাঁদতেন
দুঃখের বিষয় এটাই যে সময়ের সাথে, সাথে তাঁদের সম্পর্কে দূরত্ব চলে আসে। আমি ঠিক জানিনা কেন ওনারা আলাদা হয়ে গেছিলেন। আমি মঞ্জু-দির উপস্থিতিতে কোনদিন ওনার নাম উচ্চারণ করিনি কিন্তু যখনই কেউ তপন বাবুর নাম বলত উনি একটা বাচ্চার মত কাঁদতেন। এখনো ওনার সেই কান্না মনে পড়লে আমার মন খারাপ হয়ে যায়।
তারপর, এক সময় কানে এল যে মঞ্জু-দি কিছু ঠগের পাল্লায় পড়েছেন এবং তাঁর পুরো বাড়িটাকে আশ্রম করে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি সেই আশ্রমের মাথা তাকে আমার মাসতুতো দাদা, মিন্টুদা চিনতেন। এই খবর শুনে ও আঁতকে উঠেছিল। আমিও বললাম যে তাহলে ওদের হাত থেকে আমাদের মঞ্জু-দিকে উদ্ধার করতে হবে। সেই লোকটাকে আমার দাদা খুব মার মেরেছিলেন আর বলেছিলেন জীবনে যেন কোনদিন মঞ্জু-দি'র বাড়িতে সে না ঢোকে। এরপর, সে আর ঢোকেনি ঠিকই কিন্তু মঞ্জু-দি নিজেই যেন কেমন বদলে গেছিলেন। উনি আবারও আরেকজন ঠগকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন।
মঞ্জু দে
একসময় মঞ্জু-দি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই সময় ওই হাসপাতালের পরিকাঠামো খুব একটা ভালো ছিলনা। ছিলেন। তবে, আমরা যখন খোঁজ করলাম তখন ওখান থেকে জানানো হয় যে ওনাকে ওখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরে আর ওনার কোন খবরই আমরা পাইনি। উনি কোথায়, কিভাবে মারা যান বা কে ওনার শেষকৃত্য করেছিল সেসব কিছুই আমরা জানতে পারিনি। সম্ভবত, যে লোকটি সবসময় ওনার সঙ্গে, সঙ্গে ঘুরত তাকেই উনি নিজের বাড়িটা দিয়ে গেছিলেন। মহিলা শিল্পী মহলের সদস্যরা মিলে ওনার যোনী একটা স্মরণসভা করা হয়েছিল। সেই স্মরণসভায় সেই ভদ্রলোক বলেন, "মাধবী তো জানত উনি কোথায় ছিলেন।" আমি যদি জানতাম তবে তো মঞ্জু-দিকে আমার বাড়িতেই নিয়েই আসতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা এই যে আমি কিছুই জানতাম না।