নিবন্ধ

প্রথম পাতা > নিবন্ধ
অনুভা গুপ্ত
'অনুভা-দি আর আমি মিলে উত্তমবাবুর পিছনে লাগতাম'
তারিখ : 28-April-2024

ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭৪ সালে অনুভা গুপ্ত অভিনীত শেষ ছবি 'ছন্দপতন' (পরিচালনা গুরু বাগচী) মুক্তি পায়। তার দু'বছর আগেই সকলকে হতবাক করে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন অনুভা। অত্যন্ত আঘাত পেয়েছিলেন অনুভার প্রাণের বান্ধবী মাধবী মুখোপাধ্যায়। তিনি জানতেন, কাউকে কিচ্ছু না বলে যন্ত্রণা সইবার ক্ষমতা অনুভার আছে। তারই স্মৃতিচারণ রইল এখানে।

বিএফএ এই কাজটার দায়িত্ব নিল কেন? 

প্রদীপের নীচের অন্ধকারের মতোই তারকাদের জীবনও বহুলাংশে আলো-আঁধারিতে ঘেরা। বিএফএ-তে আমরা এই জাতীয় বিষয় উপস্থাপনার ক্ষেত্রে সাবধানতা এবং সংবেদনশীলতার দিকে নজর রাখি। অনুভা গুপ্তের আকস্মিক মৃত্যু এবং তাঁর জীবনের নানা ওঠাপড়ার কথা মাধবী মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে থেকে গেছে। মেয়ে মিমি ভট্টাচার্যের কাছে সেই সব কথাই গল্প করেছেন তিনি।

কানন দেবীর মহিলা শিল্পী মহলেই প্রথম আমার অনুভাদির সাথে আলাপ হয়। উনি ছিলেন আমার বড় দিদির মতন, যাঁর সাথে থাকলে সবরকম হাসি-মজা-দুষ্টুমি করার অবাধ স্বাধীনতা পেতাম। তবে, আমাদের সম্পর্কটা শুধুমাত্র হাসি-মজায় সীমাবদ্ধ ছিলনা। ওনার জীবনের অনেক গোপন তথ্য এবং যেভাবে ওনার সুযোগ নেওয়া হয় সেসব কথা উনি অনায়াসে আমায় বলতেন। ওনার বলা সেই কথাগুলো আমি ভুলতে পারিনি। একজন মানুষের প্রয়াণের পরে তাঁর জীবনের লুকোনো ইতিহাস খুঁড়ে বের করবার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। আবার, সত্যের অপলাপেও আমি বিশ্বাসী নই।

অনুভা গুপ্ত, মঞ্জু দে এবং শোভা সেন ফুটবল মাঠে
ছোটবেলায় অনুভাদি ছিল খুবই দুষ্টু এবং আমুদে প্রকৃতির। তিনি খুব ভাল ড্রাম বাজাতে পারতেন আর ওনাদের পাড়ায় কুচকাওয়াজ হলে সেখানেও ড্রাম বাজানোয় অংশ নিতেন। ওনার চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্যের কথা আমার সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে সেটা হল ওনার প্রাণবন্ত অথচ অন্তর্মুখী স্বভাব।
আরেকটা ছবির কথাও আমার মনে আছে, সেটা হল দেবকী কুমার বোস পরিচালিত 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য'। সেই ছবিতে সুচিত্রা সেন ছিলেন বিষ্ণুপ্রিয়া এবং নিমাইয়ের ভূমিকায় ছিলেন বসন্ত চৌধুরী। অনুভা-দি নিমাইয়ের কাছে আশীর্বাদের জন্য হত্যে দিয়ে পড়া এক ভক্তের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
সত্যি বলতে, আমি যখন প্রথম ওনার অভিনয় দেখি, তখন আমি এতটাই ছোট ছিলাম যে তাঁর অভিনয় পারদর্শিতা বিচারের শক্তি ছিলনা। তখন যা দেখতাম, তাতেই মুগ্ধ হতাম। উনি বঙ্কিমচন্দ্রের 'আনন্দমঠ' অবলম্বনে সতীশ দাশগুপ্তের পরিচালনায় তৈরি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। এই ফিল্মটিতে সুনন্দা দেবীও ছিলেন। ওনার আরেকটা ছবির কথাও আমার মনে আছে, সেটা হল দেবকী কুমার বোস পরিচালিত 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য'। সেই ছবিতে সুচিত্রা সেন ছিলেন বিষ্ণুপ্রিয়া এবং নিমাইয়ের ভূমিকায় ছিলেন বসন্ত চৌধুরী। অনুভা-দি নিমাইয়ের কাছে আশীর্বাদের জন্য হত্যে দিয়ে পড়া এক ভক্তের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দেবকী কুমার বোসের 'রত্নদীপ' ছবিটিতেও উনি খুব সুন্দর অভিনয় করেছিলেন। সেই সময় আমি নেহাতই শিশু। পরবর্তীকালে অনুভাদি'র সঙ্গে আমি একটার পর একটা কাজ করেছি।
সাহেব বিবি গোলাম ছবিতে উত্তম কুমারের সঙ্গে
আমার সঙ্গে ওনার খুবই ঘনিষ্ঠ এবং মধুর সম্পর্ক ছিল। আমারা দু'জনে কিন্তু খুবই দুষ্টু ছিলাম। শ্যুটিং চলাকালীন উত্তম কুমারকে কিভাবে ঢিট করা যায়, আমরা সেই ফন্দি আঁটতাম। সেসব কথা মনে পড়লে এখনো আমার হাসি পায়। উত্তম কুমারের ঘরে কাউকে ঢুকতে দেখলেই, সঙ্গে, সঙ্গে সেটের একজন কর্মচারীকে ডেকে বলতাম, "আপনি ভেতরে গিয়ে বলুন, 'উতু, খাওয়া হয়েছে?', বলে চলে আসবেন, শুধু এই একটা কথা বললেই হবে।" এরকমভাবে উত্তম বাবুর ঘরের মধ্যে একের পর এক লোককে শিখিয়ে-পড়িয়ে ঢুকিয়ে দিতাম তাঁকে উত্যক্ত করবার জন্য। এছাড়াও আরো নানানরকম বদমাইশি করেছি। যেমন যখন শট নেওয়া হচ্ছে এবং উত্তম বাবু অভিনয় করছেন, আমরা ঠিক তার পাশেই বিভিন্ন উদ্ভট মুখভঙ্গি করে কথা বলতাম। ফলে উত্তমবাবুর চোখ আমাদের দিকে চলে যেত আর বারবার রিটেক করতে হত। একবার, পরপর সাতবার এরকম হবার পরে তিনি হাঁক দিয়েছিলেন, "খোকা দা, মাধু আর অনুভাকে বের করে দিন তো সেট থেকে।" আমাদের তখন সঙ্গে, সঙ্গে সেট থেকে বের করে দেওয়া হল। আমরা একসাথে থাকলে সবসময় এমন নানা মজা করেছি।
একবার অনুভাদি খাবারের কৌটো নিয়ে এসে আমায় বলল, "একটা রান্না করেছি, খেয়ে দেখ তো কেমন লাগে, নারকেল দিয়ে চিকেন।" আমি ভেবেছিলাম বুঝি জঘন্য হবে খেতে। কিন্তু বলেছেন যখন, তখন খেতে তো হবেই! তবে, খেয়ে দেখলাম খুব ভাল স্বাদ!
সেইসব দিনগুলো খুব আনন্দে কেটেছিল। আউটডোরে শ্যুটিং থাকলে খাবারদাবার নিয়ে আমার কোন চিন্তা থাকত না, জানতাম ওসবের ব্যবস্থা অনুভাদি ঠিক করে নেবে। যেমন একবার অনুভাদি খাবারের কৌটো নিয়ে এসে আমায় বলল, "একটা রান্না করেছি, খেয়ে দেখ তো কেমন লাগে, নারকেল দিয়ে চিকেন।" আমি ভেবেছিলাম বুঝি জঘন্য হবে খেতে। কিন্তু বলেছেন যখন, তখন খেতে তো হবেই! তবে, খেয়ে দেখলাম খুব ভাল স্বাদ!
অনন্যা ছবিতে কানন দেবীর সঙ্গে
এলাহাবাদে যখন আউটডোরে গেছিলাম, সেখানে আমি আর অনুভাদি একই রুমে ছিলাম। আমাদের ঘরের পাশে একদিকে আরেকটা রুমে ছিলেন উত্তম বাবু আর সুপ্রিয়া দেবী। সুপ্রিয়া দেবী তখন উত্তম বাবু আউটডোরে গেলে সঙ্গে যেতেন। আমাদের ঘরের অন্য পাশের রুমে ছিলেন বিকাশ-দা। আমরা ছাদে গিয়ে নয়নতারা ফুল তুলে, হোটেলের স্কাইলাইট দিয়ে উত্তম বাবুর ঘরে ফেলতাম আর বলতাম, "সুপ্রিয়া তোমার পতি সেবায় তুষ্ট হয়ে দেবতা তোমায় পুষ্প দান করলেন"। আমাদের কান্ডকারখানায় অতিষ্ঠ হয়ে উত্তম বাবু সবসময় অন্যদের সাবধান করে দিয়ে বলতেন, "এই দুটোকে একদম একজায়গায় রাখবেন না।" তবে, ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা যখন বারংবার এসে উত্তমবাবুর সঙ্গে দেখা করবার জেদ ধরে, তখন এই দুটো মেয়েই কিন্তু সাহস করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল। আমরা সটান তাদের সামনে গিয়ে বলেছিলাম, "কী করতে এসেছেন আপনারা?" তারা উত্তম বাবুকে একবার দেখতে চাওয়ায় বলেছিলাম, "না, সেটা তো সম্ভব নয়"। অনুভাদি'র দিকে ফিরে বলেছিলাম, "কী, সম্ভব?" অনুভাদি উত্তর দিয়েছিল, "না, কী করে সম্ভব হবে। এখন তো উনি বোধহয় স্নান করছেন"।
অনুভাদি উত্তরে বলেছিল, হ্যাঁ, পুজো তো করতে হয়, এই যে এত অসামান্য অভিনয় করেন সেটা কী এমনি, এমনি হয়! পুজো করেই হয়।
শুনে লোকগুলো বলে, "এই সন্ধ্যেবেলায় উনি স্নান করছেন!" অনংদি বলে, "হ্যাঁ, এবার স্নান করার পর উনি ধ্যান করবেন, পুজো করবেন।" ওনারা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, "উনি পুজো করেন?" তখন অনুভাদি উত্তরে বলেছিল, "হ্যাঁ, পুজো তো করতে হয়, এই যে এত অসামান্য অভিনয় করেন সেটা কী এমনি, এমনি হয়! পুজো করেই হয়। তাই, এখন আপনাদের সাথে দেখা হবে না, এখন আপনারা আসতে পারেন, নমস্কার। আপনারা যে এসেছেন সেই জন্য, থ্যাংকিউ, বল মাধু থ্যাংকিউ।" আমিও তাই বললাম। আমরা ছিলাম এমনই সপ্রতিভ আর বদমাশ কিন্তু এই বদমায়েশি অনেকক্ষেত্রে অন্যের উপকারেও আসত!
মোহনবাগান ক্যাপ্টেন অনিল দে (বাঁ দিকে) এবং ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেন পি চক্রবর্তী, ১৯৪৫ সালের আইএফএ শিল্ড ফাইনালে
আমরা দু’জনে ঠিক এতটাই অন্তরঙ্গ ছিলাম। তবে, ওনার ব্যাপারে কথা বলতে শুরু করলেই ওনার জীবনের কিছু গোপনীয় কথা যেগুলো উনি নিজে আমায় জানিয়েছিলেন, সেগুলো মনে পড়ে যায়। যেমন ওনার সাথে ফুটবলার অনিল দে’র বিয়ের কথা। অনুভাদির মা ছিলেন অনিল দে'র ফ্যান। অনুভাদি'র বাবা রেলওয়েতে কাজ করতেন, যে কারণে তাঁকে মাঝেমাঝেই বাইরে যেতে হত। একবার সেরকমই এক সফর সেরে ফিরে এসে, অনিল দে'কে বাড়িতে দেখে তিনি জিজ্ঞেস করেন, "এই লোকটা বারবার কেন আসে?" অনুভাদির মা বলেছিলেন, "ও অনুভার ফ্যান, ওর কাছে চান্স নেবার জন্য আসে।" এভাবে প্রশ্রয় দেওয়াটাই কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুভাদির জীবনে বিপদ ডেকে এনেছিল। অনুভাদি'কে তিনি বিভিন্ন মদের ঠেকে নিয়ে যেতেন যেখানে সকলেই মদ্যপান করে থাকত এবং অনুভাদি'কেও বাধ্য করতেন ড্রিঙ্ক করতে। এই ভাবেই একসময় তিনি অনুভাদি'কে জোর করে সিনেমায় নামালেন। অনুভাদির নিজের সিনেমায় নামার প্রতি কোন ঝোঁক ছিল না। কিন্তু এক রকম বাধ্য হয়েই সিনেমা করতে শুরু করেন, নামডাকও হয়। সাফল্য পাওয়ার পর অনুভাদি'কে আর অনিল বাবুর জোর খাটানো মেনে নিতে হয়নি বরং তিনি নিজের চলার পথ নিজেই গড়ে নিয়েছিলেন।

আমার মনে আছে তিনি আমায় বলেছিলেন, "আমরা বন্ধুর মতনই থাকব সারা জীবন।" আমি বলেছিলাম, "না, সমাজ সেটা মানবে না। তুমি বিয়ে কর।" তারপরে, এক সময় তাঁদের বিয়ে হল। বিয়ে হবার পর, রবি বাবুর বাড়িতেও কেউ অনুভাদিকে মেনে নেয়নি

পরে তাঁর সত্যিকারের ভালোবাসা হয়েছিল রবি ঘোষের সাথে। সেই সময় অনুভাদির বিয়ে করার খুব একটা ইচ্ছে ছিলনা। আমার মনে আছে তিনি আমায় বলেছিলেন, "আমরা বন্ধুর মতনই থাকব সারা জীবন।" আমি বলেছিলাম, "না, সমাজ সেটা মানবে না। তুমি বিয়ে কর।" তারপরে, এক সময় তাঁদের বিয়ে হল। বিয়ে হবার পর, রবি বাবুর বাড়িতেও কেউ অনুভাদিকে মেনে নেয়নি। মেনে নেয়নি বলেই হয়ত সেখানে শান্তি ছিলনা। ওনারা তাই ঠিক করেন একটা বাসা ভাড়া করে আলাদা থাকবেন। কিন্তু তখন ওনাদের রোজগারটা অনেকটাই কমে গেছিল, তাই কালীঘাটে যেখানে থাকতেন, সেখানেই আবার ফিরে যেতে হয়েছিল। ওনার মনে অনেক কষ্ট-যন্ত্রণা জমেছিল কিন্তু কাউকে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেননি। মারা যাবার কিছুদিন আগে উনি আমায় অনেকবার ফোন করেন আর প্রত্যেকবারই বলত "তোর সাথে আমার কথা আছে। যখন নির্মল থাকবে না সেইদিন জানাবি আমাকে।” কিন্তু সেই সময়ই নির্মল পরপর বেশ কিছুদিন একটা শ্যুটিংয়ের কাজে বাড়িতেই ছিল। তাই, আমিও ওনার সাথে আলাদা করে কথা বলতে পারিনি আর ওনার সমস্যার কথাও জানতে পারিনি।
রবি ঘোষের সঙ্গে অনুভা
ওনার মৃত্যুর খবরে আমি, নীলিমাদি এবং মঞ্জুদি হতবাক হয়ে গেছিলাম। ওনার শরীর যে অতটা খারাপ ছিল সেকথা আমরা জানতামই না। ওনার চলে যাওয়ার পরেও রবি ঘোষের সাথে আমার দেখা হয়েছে। আমরা একসাথে কাজও করেছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনোদিনই অনুভাদিকে নিয়ে কথা হয়নি। আজ ফিরে তাকালে অনুভব করি যে অনুভাদি কতটা মনের জোর এবং সৌজন্যবোধের অধিকারিণী ছিলেন। আমার কাছে তিনি আজও সেই মানুষটা যিনি জীবনের দেওয়া সব আঘাত হজম করার ক্ষমতা রাখতেন কিন্তু শত কষ্ট পেলেও কোনদিন অভিযোগ করতেন না।
লেখক পরিচিতি
ডঃ মিমি ভট্টাচার্য দমদম মতিঝিল কলেজের একজন সহযোগী অধ্যাপিকা। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ইতিহাস ছাড়াও নারীদের সমস্যা এবং চলচ্চিত্র বিষয়ে গভীর আগ্রহের কারণে তাঁর পিএইচডি থিসিসের বিষয়বস্তু ছিল 'বাংলা সিনেমায় নারী চরিত্রের ক্রমপরিবর্তনের ইতিবৃত্ত'। বর্তমানে তিনি ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে সিনেমায় নারীর চিত্রায়নের পরিবর্তন বিষয়ে একটি বই লিখছেন। এই বিষয়ে বিভিন্ন গ্রন্থে এবং জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশ করা ছাড়াও তিনি ন্যাশনাল আর্কাইভের উদ্যোগে তাঁর মা এবং খ্যাতনামা অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের একটি সুশ্রাব্য জীবনী প্রস্তুতের কাজেও সহায়তা করেছেন। সম্প্রতি তিনি মৃণাল সেন,অপর্ণা সেন এবং ঋতুপর্ণ ঘোষের ফিল্মে নারীর চরিত্রায়ণ বিষয়ে মেটিরিয়াল রিকোয়ারমেন্ট প্ল্যানিং (MRP)পর্ব সম্পূর্ণ করেছেন। বহুদেশে ভ্রমণ এবং মননশীল অধ্যয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সেমিনারে তিনি বক্তা হিসেবে যোগদান করেছেন।