প্রকাশিত হল নতুন লেখা! নিবন্ধ বিভাগে পড়ে দেখুন মাধবী মুখোপাধ্যায়ের জবানবন্দিতে "খুচরো রাজনীতির জেরে এক স্বপ্নের অপমৃত্যু: কানন দেবীর জীবনের অজানা ইতিবৃত্ত!"
আমাদের কথা
যা মনে থাকে, তা-ই বাঁচে। যা সংরক্ষিত হয়, তা-ই থাকে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ ভালোবাসা এবং স্মৃতিকাতরতা সত্ত্বেও গত শতক থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস সংরক্ষণের কাজটা খুব সামান্যই হয়েছে। অতিমারী (২০২০-২১) যেন আমাদের কাছে একটা সুযোগ নিয়ে এল। চলচ্চিত্র বিষয়ে প্রবল উৎসাহী আমরা কয়েকজন স্থির করলাম এমন একটা ডিজিটাল মঞ্চ স্থাপন করা হবে যা শিল্পী এবং দর্শকদের মনে সমানভাবে অনুপ্রেরণা সঞ্চার করতে পারবে। সেই থেকেই জন্ম হল 'বেঙ্গল ফিল্ম আর্কাইভ'(বিএফএ), একটি দ্বিভাষিক ই আর্কাইভ। এই মহাফেজখানা এক অর্থে একটি চলচ্চিত্র কোষ- যেখানে পাওয়া যাবে তথ্য, ছোটখাটো ঘটনা, রম্য রচনা, সাক্ষাৎকার বা জীবনীই শুধু নয়, সঙ্গে থাকবে ইন্টারঅ্যাক্টিভ অনলাইন গেমসও।
আমাদের ইউটিউব
এ শুধু গানের দিন
সবাক চিত্রের যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে চলচ্চিত্রে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছে নেপথ্যসঙ্গীত। কানন দেবীর ‘আমি বনফুল’ থেকে আরতি মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি মিস ক্যালকাটা’, বাংলা সিনেমায় গান আছে প্রতিটি অনুভূতি নিয়ে। এই বিভাগে বিএফএ সুর বেঁধেছে বাংলা সিনেমার নেপথ্য সঙ্গীতের গীতিকার, সুরকার আর কণ্ঠশিল্পীদের সঙ্গে। পাবেন গত সাত দশকের বাংলা সিনেমার হিট গানের একটি তোড়া।
বড় নিবন্ধ
আমাদের মনঃসংযোগের বহর যখন ক্রমশ কমছে, তখন বড় লেখা কেন? আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, বলতে পারেন কেউ কেউ। কিন্তু বিএফএ-র আমরা জেনেবুঝেই ঝুঁকিটা নিচ্ছি। কারণ আমরা ভাল লেখার কদর করতে চাই। এই বিভাগে আমরা রাখব সিনেমা নিয়ে নিবিড় আলোচনা, সাক্ষাৎকার আর স্মৃতিচারণ, যা সত্যিই দাবি করবে আপনার সময়, মনোযোগ আর পড়ার নিজস্ব আনন্দ। সব লেখাই থাকছে ইংরেজি, বাংলা দুই ভাষাতেই। কোনও পয়সাও লাগছে না। ফলে সময় নিয়ে নিশ্চিন্তে পড়ুন। দরকার হলে ফিরে পড়ুন। আমাদের লেখকদের সঙ্গে পরিচিত হোন। প্রতিক্রিয়া জানান।
বিশেষ লেখা
বেবি শিখা, শিখারানী আর ছোট সুচিত্রা মানে আমার বড়পিসি
তাঁর কবিতা পাঠ শুনে পরিচালক অগ্রদূত তথা বিভূতি লাহার পছন্দ হওয়ায় ছয় বছর বয়সী শিখারানী বাগ ১৯৪৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সংকল্প ছবিতে অভিনয়ের জন্য মনোনীত হন। এভাবেই শুরু হয় বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা শিশুশিল্পীর ১৪ বছর দীর্ঘ এবং ৪০টি ছবির অভিনয় জীবন। সেই অভিনয় জীবনে তিনি স্বয়ং জহরলাল নেহরুর প্রশংসাও পেয়েছেন। এই বছর মে মাসে শিখারানীর প্রয়াণ ঘটলেও তিনি রেখে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের উত্তরাধিকার, তাঁর শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং এমন বহু ছাত্রছাত্রী যাঁরা তাঁর প্রজ্জ্বলিত আদর্শের অগ্নিশিখাকে আগামীর পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ়সংকল্প। সাংবাদিক ও লেখক শমীক বাগ তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ্য স্বরূপ এই নিবন্ধটিতে তাঁর বড় পিসির কাজ এবং জীবনের বহু অজানা গল্প শুনিয়েছেন।
আমাদের ছবি
লেখা আর ফটোগ্রাফ তো আছেই। কিন্তু সিনেমার উদযাপন কি সম্পূর্ণ হয় চলচ্ছবিকে বাদ দিয়ে? এই বিভাগে বিএফএ নিয়ে আসবে একগুচ্ছ ছোট ছবি। যার মধ্যে ধরা থাকবে সিনেমার পদাতিক বাহিনীর কথা, বিস্মৃত স্টুডিও বা প্রবীণ প্রেক্ষাগৃহের গল্প। সিনেমাকে আমাদের চোখে অতিকায় বানিয়েছেন তো এঁরাই। শুধু তারকাদের দ্যুতি নয়, আমরা পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসতে চাই সেই সব অশ্রুত কাহিনীকে, যাদের বাদ দিয়ে সিনেমা সিনেমাই নয়।
বিএফএ অরিজিনালস
লস্ট?
প্যারাডাইস একসময়ে ছিল কলকাতার সিনেমাপ্রেমীদের নন্দনকানন। এসপ্ল্যানেডের অগুন্তি থিয়েটারের মধ্যে টাইগার, গ্লোব, জ্যোতি, সোসাইটি, এলিট এবং প্যারাডাইসেই সবচেয়ে বেশি ভিড় হত। প্রেক্ষাগৃহটির মূল পর্দাকে ঢেকে রাখা তিন থাক পর্দার বাহার থেকে শুরু করে ছবির বিরতি চলাকালীন আধখোলা দরজার ফাঁক দিয়ে নির্গত এসির ঠান্ডা হাওয়ার আরাম, প্যারাডাইসের জৌলুস ও আকর্ষণের এমন নানা খুঁটিনাটি প্যারাডাইস-প্রেমীদের স্মৃতিতে আজও সযত্নে সঞ্চিত। জুনেইদ আহমেদ এই প্রেক্ষাগৃহের এমনই একজন পৃষ্ঠপোষক। বিজয় চৌধুরীর তৈরি ছবিতে হাতিবাগানের এই অধিবাসীর মুখে পৃথিবীর বুকে প্যারাডাইস-রূপী স্বর্গের স্মৃতিরোমন্থনকালে সঙ্গী হয়েছে বিএফএ।
স্মৃতির ঠিকানা

সিনেমা নিয়ে সামান্যতম কৌতূহল আছে আপনার?  তা হলে তো আপনি অবধারিত বলে দেবেন, সত্যজিৎ রায়ের বিশপ লেফ্রয় রোডের বাড়িটা ঠিক কোন জায়গায়। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা যায়, অজয় কর-অসিত সেন-অরুন্ধতী দেবী-হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় বা ঋত্বিক ঘটকের বাড়িগুলো কোথায়? বা কলকাতা থাকার সময় পৃৃথ্বীরাজ কাপুর বা কে এল সায়গল কোথায় থাকতেন?  সেই সব স্মরণীয় ঠিকানার সন্ধান না জানা থাকলে এই বিভাগটি আপনারই জন্য অনেক পরিশ্রমে আমরা সংগ্রহ করেছি, বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম যুগ থেকে তার সঙ্গে যুক্ত স্মরণীয় ব্যক্তিদের ঠিকানা ও তার বর্তমান হাল হকিকত।